Advertisement
E-Paper

অনাস্থা ভোটে জিততে জেলবন্দি তামিলদের মুক্তি দিতে পারেন রাজাপক্ষে

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের ছেলে নমিল তাঁর টুইটে এ কথা জানিয়েছেন। নমিল টুইটে লিখেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে।’’

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:৪০
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ছবি- সংগৃহীত।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ছবি- সংগৃহীত।

পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে জেতার জন্য তামিলদের মন জয় করতে মরীয়া হয়ে উঠেছেন সদ্য ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তার ফলে, দ্বীপরাষ্ট্রে তাঁদের জন্য আলাদা ভূখণ্ডের দাবি জানাতে গিয়ে গত ৩০ বছরে যে প্রচুর তামিলকে জেলে যেতে হয়েছে, জেলে থাকতে হচ্ছে, এ বার হয়তো তাঁরা সকলেই মুক্তি পেতে চলেছেন।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের ছেলে নমিল তাঁর টুইটে এ কথা জানিয়েছেন। নমিল টুইটে লিখেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে।’’

দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলদের জন্য স্বতন্ত্র ভূখণ্ডের দাবিতে ৩০ বছর আগে সরব হয়েছিল ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের হাতে গড়া লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলটিটিই)। তারই জেরে গত তিন দশকে বহু তামিলকে জেলে পোরা হয় শ্রীলঙ্কায়। তাঁদের রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দিতেও অস্বীকার করা হয়। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর হাতে প্রভাকরণ নিহত হওয়ার পর এলটিটিই কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জেলে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দি তামিলদের মুক্তির বিষয়টিও গুরুত্ব পায়নি তেমন ভাবে। ন’বছর আগে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর হাতে যখন প্রভাকরণের মৃত্যু হয়, তখন মাহিন্দা রাজাপক্ষেই ছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তবে ওই সময় রাজাপক্ষেকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছিল, লড়াইটা এলটিটিই-র বিরুদ্ধে, শ্রীলঙ্কায় থাকা তামিলদের বিরুদ্ধে নয়।

আরও পড়ুন- স্ট্যাচু অফ ইউনিটির চেয়েও উঁচু হওয়া উচিত রামপুরে রামের মূর্তি: আজম খান​

আরও পড়ুন- রাজাপক্ষে নিয়ে আগ বাড়িয়ে কথা নয়​

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই দীর্ঘ দিন জেল-বন্দি তামিলদের তড়িঘড়ি মুক্তি দেওয়ার প্রয়োজনটা প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে বোধ করছেন অনাস্থা ভোটে জেতার জন্য।

সরকারি ভাবে, শ্রীলঙ্কার ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে ১০০ জন এমপি-র সমর্থন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের পিছনে। আর গত ২৬ অক্টোবরের নির্দেশে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা যাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন, সেই রনিল বিক্রমসিংঘের পক্ষে রয়েছেন ১০৩ জন এমপি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলদের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ‘তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ (টিএনএ)-কে পাশে পাওয়াটা খুব জরুরি হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের কাছে। টিএনএ-র ১৫ জন এমপি রয়েছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে টিএনএ জানিয়েছে, তারা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবে। তাই জেলে বন্দি তামিলদের মুক্তি দিয়েই টিএনএ-র মন জয় করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে। টিএনএ-র এক এমপি-কে উপমন্ত্রীর টোপ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে সমর্থন করার জন্য টিএনএ-র আরও চার এমপি পা বাড়িয়ে রেখেছেন।

রাজাপক্ষে নিজেও দাবি করেছেন, ওই ভোটে তিনিই জিতবেন। কারণ, বিক্রমসিংঘে শিবিরের আরও ছয় জন এমপি তাঁকে সমর্থন করবেন। রাজপক্ষের আশা, বিক্রমসিংঘে শিবিরের আরও লোকজন তিনি ভাঙিয়ে আনতে পারবেন।

Sri Lanka Tamil Prisoners Mahinda Rajapaksa শ্রীলঙ্কা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy