Advertisement
E-Paper

এপস্টাইন কী ভাবে ‘শিকার’ ধরতেন? কী করতেন প্রেমিকা? আমেরিকা থেকে স্মৃতিচারণ ভুক্তভোগীর, ট্রাম্পের নাম এল?

এপস্টাইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর জেলে আত্মঘাতী হন ২০১৯ সালে। তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা তথা সঙ্গিনী ম্যাক্সওয়েল এখন জেলে। শিশু পাচার এবং এপস্টাইনের যৌন অপরাধের মামলায় তিনিও দোষী সাব্যস্ত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৮:২৪
(বাঁ দিক থেকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প, মেলানিয়া, জেফ্রি এপস্টাইন এবং গিজ়লাইন ম্যাক্সওয়েল। —ফাইল চিত্র।

(বাঁ দিক থেকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প, মেলানিয়া, জেফ্রি এপস্টাইন এবং গিজ়লাইন ম্যাক্সওয়েল। —ফাইল চিত্র।

যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইন কী ভাবে কমবয়সি মেয়েদের জন্য ফাঁদ পাততেন, তাতে তাঁর প্রেমিকা গিজ়লাইন ম্যাক্সওয়েলের ভূমিকা কী ছিল, আমেরিকা থেকে তার স্মৃতিচারণ করলেন এক ভুক্তভোগী। এনডিটিভি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, প্রথমে সামনে আসতেন না এপস্টাইন। প্রথম পর্বে যা করার, তা ম্যাক্সওয়েলই করতেন। শেষ মূহূর্তে ‘ক্লাইম্যাক্সে’ এপস্টাইনের আবির্ভাব হত। এপস্টাইনের ফাইল প্রকাশ্যে আসা জরুরি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এপস্টাইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর জেলে আত্মঘাতী হন ২০১৯ সালে। তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা তথা সঙ্গিনী ম্যাক্সওয়েল এখন জেলে। শিশু পাচার এবং এপস্টাইনের যৌন অপরাধের মামলায় তিনিও দোষী সাব্যস্ত। এই এপস্টাইনের সঙ্গে একসময় যোগাযোগ ছিল আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। দাবি, এপস্টাইনের ফাইলে তাঁর নামও রয়েছে। ট্রাম্প প্রথম থেকেই এই সমস্ত দাবি অস্বীকার করে এসেছেন। তবে বিতর্ক থামেনি।

আমেরিকা থেকে এপস্টাইন-কাণ্ডের অন্যতম ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, একটি চাকরির ইন্টারভিউয়ের সূত্রে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়েছিল। সে সময়ে তাঁর বয়স ছিল ২২। তাঁকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ম্যাক্সওয়েল তাঁর ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। এই পর্যায়ে ম্যাক্সওয়েলকে অত্যন্ত ভদ্র, স্পষ্টভাষী এবং দয়ালু বলে মনে হয়েছিল ওই তরুণীর। আলাদা যোগাযোগ অনুভব করতে পেরেছিলেন। ম্যাক্সওয়েল তাঁকে নিজের বাড়িতেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তরুণীর কথায়, ‘‘আমার জীবনে যা কিছু ঘটছিল, ও আমার পাশে ছিল। এখন বুঝতে পারি, ওটা ছিল ওদের পদ্ধতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী অংশ। আমার বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছিল ওরা। আমার মনে হয়েছিল, এটাই আমার জায়গা। এখানেই আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’

ম্যাক্সওয়েলের বাড়ির বর্ণনাও দিয়েছেন তরুণী। জানিয়েছেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবিতে ঘরের দেওয়াল ভরিয়ে রেখেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। একাধিক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ছবি ছিল। যা দেখে মনে হয়েছিল, তিনি নিজেও খুব প্রভাবশালী এক মহিলা। বিশ্বাস অর্জনের পর্ব শেষ হলে তরুণীকে দ্বিতীয় ইন্টারভিউয়ের জন্য এপস্টাইনের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জেলে এ বিষয়ে ম্যাক্সওয়েলকে আরও এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ভুক্তভোগী তরুণী জানিয়েছেন, এপস্টাইনের ফাইল প্রকাশ্যে আসা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘‘এগুলো আমাদের সঙ্গে ঘটেছে। এগুলো সত্য ঘটনা। এই ঘটনাগুলোকে তো অস্বীকার করা যায় না।’’ এপস্টাইন প্রভাবশালীদের সাহায্য পেতেন, দাবি ওই তরুণীর। তিনি মনে করেন, এপস্টাইনের ফাইল প্রকাশ্যে এলে সেই সমস্ত নামগুলিও প্রকাশ্যে আসবে, যাঁরা এই শোষণ দিনের পর দিন টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিলেন।

ম্যাক্সওয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টড ব্ল্যানসে, যিনি একসময় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী ছিলেন। তরুণীর দাবি, ওই জিজ্ঞাসাবাদে ম্যাক্সওয়েল ‘পিছলে গিয়েছেন’। কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই দেননি। কয়েকটি রিপোর্টে দাবি, আগামী ১১ অগস্ট আবার জেলে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন টড।

Jeffrey Epstein Donald Trump US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy