প্রতীকী ছবি।
আফগানিস্তানে আমেরিকান নাগরিক, গ্রিন কার্ড ধারক এবং আমেরিকার সঙ্গে কাজ করা ‘বন্ধু’দের নামের তালিকা তালিবানের হাতে! নিজের লোকেদের বিমানবন্দরে ঢুকতে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য আমেরিকার উদ্ধারকারী দলের তরফে তালিবানের হাতে তালিকা তুলে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। সেই তালিকা নিয়েই এখন তোলপাড়।
নিজেদের লোকেদের উদ্ধার সহজ ও সুগম করতে আমেরিকার নেওয়া পদ্ধতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আমেরিকার আধিকারিকের দেওয়া তালিকা কি তালিবানের হিট লিস্ট হয়ে উঠল? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ এর আগে একাধিক বার দেখা গিয়েছে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন আফগানদের নির্বিচারে খুন করেছে তালিবান। নিজের সুবিধা করতে গিয়ে কি ব্যুমেরাং হল আমেরিকার পরিকল্পনা?
১৫ অগস্ট কাবুলের পতনের পর থেকে বিমানবন্দরের বাইরে দখল কায়েম করেছে তালিবান। ভিতরে রয়েছে মিশ্র সেনা। বিমানবন্দরে ঢোকার একাধিক রাস্তায় তালিবানি প্রহরা। সূত্রের খবর, তালিবানি বাধায় যাতে আফগানিস্তানে আমেরিকার বন্ধুদের বিমানবন্দরে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে জন্য আগেভাগেই নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল তালিবানের হাতে। এ বার কি সেই তালিকা থেকে বেছে বেছে ‘টার্গেট’ বাছবে তালিবান? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
এই সমস্ত ক্ষেত্রে যে তালিবানের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার চেষ্টা করা হয় তা এক প্রকার মেনে নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা কতটা? আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘পলিটিকো’র প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘এ ভাবে আমেরিকার বন্ধুদের মৃত্যু পরোয়ানা তালিবানের হাতে তুলে দিয়েছেন আধিকারিকরা।’
আমেরিকান পাসপোর্ট আছে এবং গ্রিন কার্ডধারীদেরই গত বুধবার পর্যন্ত বিমানবন্দরে ঢোকার অনুমতি ছিল। তার পর বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেখানে কী হয়েছে, তা জানা যায়নি। স্থানীয় যে আফগানরা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতেন, তাঁরা কি এ বার তালিবানি নিশানায়? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy