Advertisement
E-Paper

ভারতীয় প্রযুক্তিবিদকে গুলি করে খুন আমেরিকায়, কাঠগড়ায় পুলিশ! বিদেশ মন্ত্রকের কাছে সাহায্যের আর্জি

তেলঙ্গানার মেহবুবনগরের বাসিন্দা মহম্মদ নিজ়ামুদ্দিন ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি দেন। ফ্লরিডার এক কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। আমেরিকায় কাজ শুরু করেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৬
মৃত ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ মহম্মদ নিজ়ামুদ্দিন।

মৃত ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ মহম্মদ নিজ়ামুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত।

রুমমেটের সঙ্গে ঝামেলা। সেই ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় ওই রুমমেটকে ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে এক ভারতীয় প্রযুক্তিবিদের বিরুদ্ধে। এ বার সেই ভারতীয় প্রযুক্তিবিদকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় আমেরিকার পুলিশ! যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, বর্ণবৈষম্যের কারণেই খুন হতে হয় ওই ভারতীয় যুবককে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের দাবি তুলেছে তারা। একই সঙ্গে ওই যুবকের দেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়েছে।

তেলঙ্গানার মেহবুবনগরের বাসিন্দা মহম্মদ নিজ়ামুদ্দিন ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি দেন। ফ্লরিডার এক কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। এমএস ডিগ্রি অর্জনের পর ফ্লরিডাতেই একটি সংস্থায় প্রযুক্তিবিদ হিসাবে কাজ শুরু করেন। পরে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান।

নিজ়ামুদ্দিনের বাবা মহম্মদ হাসানুদ্দিনকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ সেপ্টেম্বর। নিজ়ামুদ্দিনের এক বন্ধুর থেকেই ঘটনাটি জানতে পারেন হাসানুদ্দিন। তবে সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি জানার পরই হাসানুদ্দিন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি।

হাসানুদ্দিনের দাবি, তিনি জানতে পেরেছেন, সান্তা ক্লারার পুলিশ তাঁর পুত্রকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাঁর মৃতদেহ স্থানীয় কোনও এক হাসপাতালে রাখা আছে। কী কারণে পুলিশ তাঁকে গুলি করেছে, তার প্রকৃত কারণ জানেন না বলেই চিঠিতে দাবি করেছেন হাসানুদ্দিন। তবে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন, তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, নিজ়ামুদ্দিন এবং তাঁর রুমমেটের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছিল। তবে বিস্তারিত কিছু জানেন না।

মৃতের এক আত্মীয় সংবাদ সংস্থা এনআইএ-কে জানান, এসি চালানো নিয়ে নিজ়ামুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর রুমমেটের অশান্তি হয়। অশান্তির মধ্যেই ছুরি নিয়ে আঘাতের ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীরাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসার পর ঠিক ঘটেছিল, তা স্পষ্ট নয়। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ চার রাউন্ড গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় নিজ়ামুদ্দিনের। দেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে।

Indian Student Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy