বিস্ফোরণের পরে সেন্ট পিটার্সবার্গের সেনায়া প্লশচাদ মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসছেন আহত এক যাত্রী। সোমবার এখানেই ঘটে প্রথম বিস্ফোরণটি। সব মিলিয়ে প্রাণ হারান অন্তত দশ জন। ছবি: রয়টার্স
স্থানীয় সময়ে ঘড়িতে তখন দুপুর আড়াইটে। হঠাৎই পর পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ। কেঁপে উঠল সেন্ট পিটার্সবার্গের দু’টি মেট্রো স্টেশনে দাঁড়ানো ট্রেন দু’টি। প্রাণ হারালেন অন্তত ১০ জন। আহত ৫০ জনেরও বেশি। তার মধ্যে অনেকেই শিশু। পুলিশের বক্তব্য, এটা সন্ত্রাসবাদী হানা। তবে এখনও কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
সোমবার প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে শহরের কেন্দ্রস্থলে সেনায়া প্লশচাদ মেট্রো স্টেশনে। আপাতত এই স্টেশন-সহ মোট তিনটি স্টেশন বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছেন অনেকে। থিকথিকে কালো ধোঁয়া ভেদ করে স্টেশন থেকে ছুটে পালাচ্ছেন বেশ কিছু যাত্রী। একটি কামরার দরজা দুমড়ে গিয়েছে বিস্ফোরণের অভিঘাতে। ধাতব অংশ ছিটকে পড়েছে স্টেশনে। একটি কামরা থেকে যাত্রীরা বেরোতে না পেরে প্রাণপণে আঘাত করছেন জানলায়।
বেলারুশ নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির পুতিন ঘটনার সময়ে শহরেই ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
প্রথমটির কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয় সেন্ট পিটার্সবার্গের টেকনোলজি ইনস্টিটিউট স্টেশনে। জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি জানিয়েছে, ট্রেনেই ছিল বিস্ফোরক। শহরের উত্তর-দক্ষিণে সংযোগকারী মেট্রো ‘লাইন টু’ লাগোয়া এই দু’টি স্টেশন। যার মাধ্যমে মেট্রোর লাইন বদল করতে পারেন যাত্রীরা। তাই ভিড় লেগেই থাকে। তদন্তকারীদের মতে, তাই জঙ্গিদের লক্ষ্য এই স্টেশন দু’টি। কেউ দায় না নিলেও আইএস স্থানীয় চেচেন জঙ্গিদের কাজে লাগিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না, উঠছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy