বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরামর্শদাতা ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে সেই পরিকল্পনায় সাময়িক ভাবে স্থগিতাদেশ দিলেন ম্যাসাচুসেটসের এক ফেডেরাল আদালতের বিচারক জর্জ ও’টুল।
প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার পর পরই ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই) নামে একটি নতুন দফতর খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই দফতরের মাথায় বসানো হয়েছে টেসলা এবং এক্স-এর কর্ণধার মাস্ককে। সরকারি খরচ কমাতে মাস্কের সেই দফতর বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের নিদান দেয়। সেই মতো আমেরিকার অন্তত ২০ লক্ষ সরকারি কর্মীকে বলা হয়েছে, হয় তাঁরা আগামী আট মাসের পুরো বেতন নিয়ে কাজ ছেড়ে দিন, না হলে পরবর্তী ছাঁটাই পর্বের জন্য তৈরি থাকুন। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। পাশাপাশি নাগরিক সমাজ এবং আমেরিকান কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যেরাও ট্রাম্প প্রশাসনের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন। গত কাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছিল ট্রাম্প সরকার। তবে বিচারক ও’টুল আগামী সোমবার পর্যন্ত এই পরিকল্পনায় ‘ইনজাংশন’ দিয়েছেন। ওই দিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
হোয়াইট হাউস প্রেসসচিব ক্যারোলিন লিয়াভিট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি কর্মী ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ২০ লক্ষের অনুপাতে তা বেশ কম। শিক্ষা থেকে শুরু করে জাতীয় গোয়েন্দা দফতর, সবেতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)