প্রতীকী ছবি।
ওমিক্রনেই শেষ নয়, চিন্তা বাড়ানোর মতো আরও ভেরিয়েন্ট (অর্থাৎ ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন) তৈরি হতে পারে। এমনই বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র কোভিড-বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভন কেরকোভ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আরও ভয়ানক ভেরিয়েন্টের মুখোমুখি পারি, সেই আশঙ্কা পুরোপুরি রয়েছে। ভাইরাসটির বিষয়ে অনেক কিছুই আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু পুরোটা এখনও জানা নেই।’’
আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আরও কত প্রাণহানি ঘটবে জানা নেই। কোভিড অতিমারিতে ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পরে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল আমেরিকা জুড়ে। তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মৃতের সংখ্যা এখন তার ন’গুণ। গত কাল ক্যাপিটলে মোমের আলোয় কোভিডে মৃতদের স্মরণে প্রার্থনা করলেন দেশের আইনসভার সদস্যেরা। অনুষ্ঠানের অগ্রভাগে ছিলেন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ সারির নেতা চাক শুমার। পেলোসি পরে টুইট করেন, ‘‘মৃতদের স্মরণে রেখে এই অতিমারিকে শেষ করতে আমরা সকলে একসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাই।’’ স্মরণ সভার পরে ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথিড্রালে ৯০০ বার ফিউনারেল বেল বাজানো হয়।
মাঝ-জানুয়ারি থেকে কিছুটা কমেছে দৈনিক মৃত্যু। তা-ও কম নয়। এখনও দিনে ২৪০০ প্রাণহানি ঘটছে। গত মাসের মাঝামাঝি যে সংখ্যক করোনা রোগী হাসাপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন, এখন তার থেকে ২৪ শতাংশ কম রোগী-ভর্তির ঘটনা ঘটছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সোমবার দেশে মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ সংখ্যাটা আগের থেকে কমলেও নেহাত কম নয়। এখনও বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটছে আমেরিকায়। ২৮ দিনের বেশি টানা শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। এই ২৮ দিনে ১ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। ৬৩ হাজার ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সময়ে।
সরকারি কর্তারা অবশ্য এই পরিস্থিতিতেও লকডাউন চালিয়ে যেতে চান না। কারণ হিসেবে তাঁদের বক্তব্য, করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট কম বিপজ্জনক। বরং তাঁদের পরামর্শ ঘন ঘন করোনা পরীক্ষা করা হোক ও নিয়ম মেনে টিকা নেওয়া হোক। এক বছরের বেশি হয়ে গেল টিকাকরণ শুরু হয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৫ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকা নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy