E-Paper

সাংবাদিক জেলে, নিশানা সম্পাদক

রমনা থানায় ডিজিটাল আইনে যে মামলায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তার প্রধান আসামি করা হয়েছে সম্পাদক মতিউর রহমানকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৭:০০
Matiur Rahman

বর্ষীয়ান সম্পাদক মতিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত।

গভীর রাতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাংবাদিককে তুলে আনার পরে এ বার কি ওই সংবাদপত্রের সম্পাদককে গ্রেফতার করতে চলেছে পুলিশ? কঠোর ডিজিটাল আইনে সংবাদপত্রটির বর্ষীয়ান সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে এই প্রশ্ন ছড়িয়েছে। এ বারও এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বুধবার গভীর রাতে!

রমনা থানায় ডিজিটাল আইনে যে মামলায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তার প্রধান আসামি করা হয়েছে সম্পাদক মতিউর রহমানকে। শামস ও ‘অজ্ঞাতনামা আলোকচিত্রী’কে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। এ দিন শামসকে মুখ্য নগর দায়রা আদালতে তুলে জানানো হয়, তেজগাঁও থানাতেও এঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। শামসুজ্জামানের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান।

সংবাদপত্রটির অনলাইন সংস্করণে রবিবার সাভারের স্বাধীনতা স্মারকের দিকে তাকিয়ে থাকা এক কিশোরের ছবি ছাপা হয়। তার নীচে ক্যাপশনে এক দিনমজুরের বক্তব্য বলে লেখা হয়— “পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।” সংবাদপত্রপটির দাবি ভুলক্রমে ছবির নীচে এই ক্যাপশনটি বসেছে। তারা পরে এই ক্যাপশনটি সরিয়ে দেয়। দুঃখপ্রকাশও করে। কিন্তু শাসক দলের নেতারা দাবি করেন, ওই ছবিতে স্বাধীনতা দিবসকে শুধু যে খর্ব করা হয়েছে তাই নয়, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরির চক্রান্ত করা হয়েছে।

তার পরেই সাভারের সাংবাদিক শামসকে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে আনে পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী। তাঁর মোবাইল ফোন, কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করে। তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, “এ ঘটনায় অবশ্যই মিথ্যা বলে রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয়েছে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। সাংবাদিক ভুল করলে শাস্তি পাবেন না?” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া ঢাকায় মহিলা যুব লীগের একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বলেন, “কোনও কোনও মহল আগামী নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ভণ্ডুল করে দেশে একটি অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক সরকার নিয়ে আসতে চায়। এ চত্রান্ত তারই অঙ্গ।”

আবার ‘রিপোর্টার উইদাউট বর্ডার্স’ সংগঠন বলেছে, সাংবাদিকদের ভয় দেখাতেই মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সম্পাদক পরিষদও অবিলম্বে মতিউর রহমান ও শামসের উপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangladesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy