জার্মানির নির্বাচনে নাক গলানোর অভিযোগ উঠল আমেরিকান ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে। জার্মান সরকারের তরফেই সরাসরি মাস্কের প্রতি এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আস্থা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ়। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনেই সরাসরি হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে এক্স-এর কর্ণধার মাস্কের বিরুদ্ধে। জার্মানির অতি দক্ষিণপন্থী দল এএফডি-র প্রতি প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন মাস্ক। সম্প্রতি একটি জার্মান দৈনিকে এএফডি-কে সমর্থন করে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন তিনি। এতেই ক্ষুব্ধ জার্মান সরকার। ওলাফ সরকারের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়েন হফম্যান অভিযোগ করেছেন, এ ভাবে কাগজে প্রবন্ধ লিখে সরাসরি ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছেন মাস্ক। এক জন বিদেশি নাগরিক হিসেবে যা তাঁর আদৌ করার অধিকার নেই।
এ ভাবে অতি দক্ষিণপন্থী দলটিকে মাস্ক সমর্থন করায় ক্ষুব্ধ জার্মান রাজনীতির অনেকেই। এমনিতে এএফডি প্রবল ভাবে মুসলিম ও অভিবাসী-বিরোধী হিসেবে পরিচিত। সেই দলকে সরাসরি ভোট দিতে আহ্বান জানানোয় শুধু জার্মান সরকারের প্রতিনিধিরাই নন, দেশে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও মাস্কের তুমুল সমালোচনা করেছেন।
শোলৎজ়ের দল এসপিডি-র নেতা লার্স ক্লিংবেল মাস্ককে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এঁরা দু’জনেই (মাস্ক এবং পুতিন) আমাদের নির্বাচনে নাক গলাচ্ছেন এবং ইচ্ছে করে এএফডি-র মতো গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে পরিচিত দলকে সমর্থন করছেন। ওঁরা চান জার্মানিতে অরাজকতা চলুক।’’ প্রধান বিরোধী দল, সিডিইউ-এর নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ়-ও মাস্কের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ফ্রেডরিখ-ই দেশের পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, বন্ধু দেশের ভোটে এ ভাবে প্রভাব খাটিয়ে এক বিরল নজির তৈরি করেছেন মাস্ক। তবে মাস্কের বক্তব্য, জার্মানিতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। তাই জার্মান রাজনীতিতে প্রভাব খাটানোর পূর্ণ অধিকার তাঁর আছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)