আমেরিকার কাছে অস্ত্রবাহী ড্রোন কিনতে চায় ভারত। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই আর্জি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে প্রবল আপত্তি রয়েছে পাকিস্তানের।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিজ জাকারিয়া বলেন, ‘‘সীমান্তে এমনিতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। তার পর ভারতের হাতে যদি এমন বিধ্বংসী ড্রোন এসে যায়, নিশ্চিত ভাবেই তার অপব্যবহার করা হবে।’’
আরও পড়ুন: ভারতকে সশস্ত্র ড্রোন দিলে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়বে: তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ পাকিস্তানের
তাঁর দাবি, ভারতের দাবি মেনে আমেরিকা অস্ত্রবাহী ড্রোন পাঠালে আঞ্চলিক সংঘর্ষের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। যার ফল ভুগতে হবে পুরো দক্ষিণ এশিয়াকেই। জাকারিয়ার কথায়, ‘‘ইসলামাবাদ বরাবরই আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে। তাই আন্তর্জাতিক ভাবে অস্ত্র সরবরাহের সময় এই স্থিতাবস্থার কথা মাথায় রাখা উচিত।’’
ভারতের হাতে ড্রোন বিমান থাকলেও সশস্ত্র ড্রোন নেই। ফলে ড্রোন থেকে কোনও লক্ষ্যবস্তু নজরে এলেও হামলা চালাতে অন্য উপায় খুঁজতে হয়। ওই ড্রোন হাতে এলে ভারতীয় বাহিনীর ক্ষমতা বেশ কিছুটা বাড়বে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
কূটনীতিকদের একটা বড় অংশের মতে, এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের নিশানায় আসলে আমেরিকা। কারণ, সন্ত্রাস দমন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাদের উপর তোপ দেগেই চলেছে। সম্প্রতি মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিজে যদি না পারে, জঙ্গি দমনে আমেরিকাই এ বার অন্য পথে ব্যবস্থা নেবে।’’ ভারত-পাক সীমান্তে বাড়তে থাকা সন্ত্রাস নিয়ে যে আমেরিকা উদ্বিগ্ন, তা-ও জানাতে ভোলেননি টিলারসন। তাঁর বার্তা, সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য ধ্বংস করতেই হবে পাকিস্তানকে। মুখে স্বীকার না করলেও ইসলামাবাদ এতে স্পষ্টতই চাপে পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy