বিক্ষোভ থামাতে লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড নামিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পর পরস্থিতির উন্নতি হওয়া দূরে থাক, আরও অবনতি ঘটেছে। ট্রাম্পের বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। চলছে রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসও।
এঅ আবহেই লস অ্যাঞ্জেলেসের আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি-বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত লস অ্যাঞ্জেলেস। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ট্রাম্প কী বার্তা দেন, সে দিকে নজর ছিল সকলের।
রবিবার নিউ জার্সিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের প্রসঙ্গে বলেন, “আমার ছোট একটি বক্তব্য রয়েছে। তা হল, ওরা থুতু ছিটিয়েছ, আমরা মেরেছি।” একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের দিকে থুতু ছিটিয়েছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের নতুন কায়দা।” তার পরেই হুঁশিয়ারির সুরে ট্রাম্প বলেন, “কেউ আমাদের পুলিশ আধিকারিক, সেনার দিকে থুতু ছেটাবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তা হলে কঠোর ভাবে তা দমন করা হবে।”
আরও পড়ুন:
রবিবার লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল এবং মরিচ গুঁড়োর বল ছোড়েন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা। তার পরেই সেখানকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের নির্দেশ সত্ত্বেও জায়গা না-ছাড়ায় ২৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভ হটাতে ইতিমধ্যেই সেনা নামানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তবে এখনই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
বস্তুত, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর জন্য তৎপর হয়েছেন। গত কয়েক দিনে লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ক্যালিফর্নিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দফতরের আধিকারিকেরা হানা দেন। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়। শুক্রবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিবাসন দফতর ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ধরপাকড়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং বিক্ষোভের তেজ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউস।