কোর্টনি টিলিয়া। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
অর্থের জন্য মানুষ কী না করে! যেমন করলেন কোর্টনি টিলিয়া। নিজের নগ্ন ছবি বিক্রি করে মাসে ৭৩ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তিনি। আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা কোর্টনি পেশায় শিক্ষিকা। অটিস্টিক বাচ্চাদের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর স্বামীও এক জন শিক্ষক।
স্নাতকোত্তর করার পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই শিক্ষকতা করে সংসার চালাতেন। তাঁদের দু’টি সন্তানও আছে। কোর্টনি এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, শিক্ষকতা করে যা উপার্জন হচ্ছিল তাতে সংসার ঠিকমতো চলছিল না। তার উপর লকডাউনে আরও টানাটানির অবস্থা তৈরি হয়। কী ভাবে আয় বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। তখনই ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে ছবি শেয়ার করার কথা মাথায় আসে তাঁর। ওই দুই নেটমাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিভাগে নিজের অ্যাকাউন্ট খোলেন কোর্টনি। সেখানে নিজের নগ্ন ছবি পোস্ট করা শুরু করেন।
তাঁর ফলোয়ারও বিপুল সংখ্যাও পৌঁছয়। ফলোয়ারের সংখ্যা দেখে এর পর অ্যাডাল্ট সাবস্ক্রিপশন সাইট ‘অনলিফ্যানস’-এ নিজের নাম নথিভুক্ত করেন। এই সাইটেই এর পর নিজের নগ্ন ছবি বিক্রি করা শুরু করেন। কোর্টনির দাবি, বর্তমানে তিনি মাসে ৭৩ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন।
এক জন শিক্ষিকা হয়ে এ কাজ করার জন্য আত্মীয়স্বজন, পড়শি এবং এমনকি স্কুলও তাঁর সমালোচনায় মুখর। শুধুমাত্র উপার্জনের জন্য কী ভাবে এমন কাজ করতে পারলেন, এমনও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যদিও তাতে আমল দিতে চান না কোর্টনি। সংবাদ সংস্থা ডেলি স্টার-কে তিনি জানান, এ কাজের জন্য তাঁর স্বামীর পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন। তা ছাড়া গোটা বিশ্বের কাছে এটাই প্রমাণ করতে চান যে, দুই সন্তানের মা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর গ্ল্যামার কমেনি। কোর্টনি আরও জানান, শিক্ষকতা করে যা আয় হচ্ছিল তাতে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে এ নিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি আর শিক্ষকতায় ফিরতে চান না বলেও জানিয়েছেন কোর্টনি। তাঁর কথায়, “এই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy