Advertisement
১১ মে ২০২৪
coronavirus

Coronavirus: হু-র নজরে এ বার করোনার নতুন রূপ ‘মিউ’

প্রথম মিউ-র দেখা মিলেছিল এ বছর জানুয়ারি মাসে কলোম্বিয়ায়। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘বি.১.৬২১’।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২১
Share: Save:

ফের করোনার নতুন রূপ। নাম ‘মিউ’। এখনই একে নিয়ে ‘দুশ্চিন্তার’ কারণ না থাকলেও নতুন স্ট্রেনটিকে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ তালিকায় যোগ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

প্রথম মিউ-র দেখা মিলেছিল এ বছর জানুয়ারি মাসে কলোম্বিয়ায়। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘বি.১.৬২১’। এখনও এর সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা না-গেলেও, এর একটি চরিত্র দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিজ্ঞানীদের। হু জানিয়েছে, এই রূপে এমন কিছু মিউটেশন ঘটেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, এটি হয়তো বাজারে উপস্থিত প্রতিষেধকগুলির ক্ষমতা ভেদ করতে সক্ষম। মিউ সম্পর্কে বিশদ জানতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

গত কাল হু-র প্রকাশিত সাপ্তাহিক অতিমারি বুলেটিনে এই রূপের বিষয়ে লেখা হয়েছে, ‘মিউ-র ভিতরে সীমাহীন মিউটেশন ঘটেছে। এতেই সন্দেহ জাগছে, হয়তো প্রতিষেধকের ক্ষমতা ভেদ করার মন্ত্রও জেনে গিয়েছে মিউ।’

এ পর্যন্ত মিউটেশন ঘটে সার্স-কোভ-২-র অসংখ্য রূপ তৈরি হয়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ মিউট্যান্ট সে ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। অল্প কিছু সংখ্যক রূপ শক্তি বাড়িয়ে ফেলে। হু-র তালিকায় ডেল্টা, আলফা-সহ চারটি ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ রয়েছে। ১৯৩টি দেশে ছড়িয়েছে আলফা। ডেল্টার দেখা মিলেছে ১৭০টি দেশে। বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন, এ রকম আরও রূপ তৈরি হবে। বস্তুত, যত বেশি সংক্রমণ ঘটবে, তত নতুন রূপ তৈরি হবে। ফলে মিউ-র আগমন নিয়ে

একেবারেই বিস্মিত নন গবেষকেরা। বরং তাঁরা জানাচ্ছেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে গোটা বিশ্বে। ফলে আরও নতুন রূপ তৈরি হতে পারে। যে সব অঞ্চলে টিকাকরণ কম হয়েছে বা একেবারেই হয়নি, কিংবা যেখানে করোনা-বিধি যথাযথ পালন করা হচ্ছে না, সেখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেল্টা। কলোম্বিয়ার পরে মিউ-র চিহ্ন মিলেছে দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু দেশে এবং ইউরোপে।

করোনা-প্রতিরোধে বিশ্ব জুড়ে একাধিক প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে। টিকাকরণ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে বহু দেশে। কিন্তু কোনও টিকাই ১০০ শতাংশ কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পারেনি। বরং নয়া চিন্তা, টিকার যে ক্ষমতাটুকু রয়েছে, তা-ও যে কোনও সময়ে ভেদ করে দিতে পারে ভাইরাস। এ অবস্থায় আজ সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক দাবি করেছেন, সাপের বিষে তাঁরা এমন একটি অণু খুঁজে পেয়েছেন, যা রুখে দিতে পারে করোনাভাইরাসকে। ‘মলিকিউল’ নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। বাঁদরের শরীরে পরীক্ষা করে সাফল্য মিলেছে। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী রাফায়েল গুইডো বলেন, ‘‘ভাইরাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে পিট ভাইপারের বিষ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus New Strain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE