ফের ভর্ৎসনা। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে নাম না করেও আমেরিকার রিপাবলিকান শিবিরের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দুষলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেদ রাদ আল-হুসেন। ওহায়োর ক্লেভল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে গত কাল তিনি বলেন, ‘‘অসহিষ্ণুতার রাস্তায় হেঁটে কখনও ভাল নেতা হওয়া যায় না।’’ হিংসা আর ঘৃণার প্রচারে রাজনীতিতেও বিশেষ ফায়দা তোলা যায় না বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।
ট্রাম্প যদিও বাজিমাত করতে চাইছেন নিজের ছকেই। প্রচারের শুরু থেকেই তিনি একবগ্গা। প্রেসিডেন্ট হলে দেশে মুসলিম প্রবেশ নিষিদ্ধ করবেন বলে প্রথম থেকেই তিনি বিতর্কের কেন্দ্রে। বিভিন্ন সময়ে প্রচারে গিয়ে মুসলিমদের মধ্যে অধিকাংশই কট্টরপন্থী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যার জেরে ডিসেম্বরেই জোরালো হয়ে উঠেছিল ‘ট্রাম্প-হটাও’ দাবি। মুসলিম-বিরোধী মন্তব্যের জন্য তাঁকে যৌথ ভাবে তিরস্কার করে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আল-হুসেন তখনও তাঁকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’-এর তকমা দেন। এমনকী দলের মধ্যেই ট্রাম্পকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে।
দেশে শরণার্থী অনুপ্রবেশ রুখতে প্রচারের শুরুতেই মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্তে দেওয়াল তোলার প্রস্তাব পাড়েন ট্রাম্প। যার জেরে তীব্র সমালোচিত হন পোপ ফ্রান্সিসের কাছে। দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তো বটেই, ট্রাম্পের নিন্দায় মুখর হয় ‘বন্ধু দেশ’ ব্রিটেনও। মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশের অনুমান, মাঝে তাই কিছুটা হলেও সুর নরম করতে বাধ্য হন ট্রাম্প। বলেন, আমেরিকায় বসবাসকারী মুসলিম, হিন্দু, শিখ এবং অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে চান তিনি।
আর এখন? সূ্ত্রের খবর, একের পর এক ককাস আর প্রাইমারিতে জিতে ট্রাম্প ফের পুরনো ফর্মে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ক্রুজকেও বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না। বরং আবারও তিনি প্রচারের নামে অসহিষ্ণুতা আর মেরুকরণের রাস্তায় হাঁটছেন বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আল-হুসেনও তেমনটাই মনে করছেন।
ক্লেভল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন— ‘‘প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে কেউ কেউ দেশের একাংশের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন। অসহিষ্ণুতা ছড়াচ্ছেন। যা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।’’
ট্রাম্পের পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের দৌড়ে থাকা আর এক রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রেড ক্রুজকেও একহাত নেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার। সম্প্রতি প্রচারে গিয়ে মুসলিম প্রতিবেশীদের উপর বিশেষ
নজরদারি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ক্রুজ। রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তা তাঁকেও সতর্ক করতে চেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy