Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৩

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমানে পৃথিবী সফর

সিলভার স্পিটফায়ার বিমান।—ছবি সংগৃহীত।

সিলভার স্পিটফায়ার বিমান।—ছবি সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৭
Share: Save:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সিলভার স্পিটফায়ার বিমান। অবসর নিয়েছিল যুদ্ধ শেষের পরেই। এত দিন সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল সযত্নে। ‘আজাইল’ নামের রয়্যাল এয়ারফোর্সের সেই স্পিটফায়ারটিকে নিয়ে এ বার বিশ্ব পরিক্রমায় বেরোলেন দুই ব্রিটিশ বিমানচালক। তাঁদের কথায়, ‘‘এ হল স্বাধীনতার প্রতীক।’’

৫৮ বছর বয়সি স্টিভ ব্রুকস এবং ৪৫ বছর বয়সি ম্যাট জোনস। ৭৬ বছরের পুরনো বিমানটিকে নিয়ে দিন কয়েক আগে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে চিচেস্টার থেকে পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। ৪ মাস ধরে উড়বেন। পাড়ি দেবেন প্রায় ৪৩,৫০০ কিলোমিটার পথ। ৩০টি দেশের মাটি ছোঁবেন ব্রুকসরা। পৌঁছে যাবেন বিশ্বের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রান্তে।

১৯৪০ সালে এমন সব স্পিটফায়ার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। জার্মানির নাৎসি বাহিনী তখন ব্রিটেনে হামলার ছক কষছে। তাদের ঠেকাতে যুদ্ধে নেমেছিল স্পিটফায়ার। এক আসনের বিমানটির বিশেষত্ব ছিল তার উপবৃত্তাকার ডানা। প্রায় ২০ হাজার স্পিটফায়ার বানানো হয়েছিল সে সময়ে। তার মধ্যে ২৫০টি বেঁচে ছিল যুদ্ধ শেষে। এখন ৫০টি বা তারও কম ওড়ার যোগ্য রয়েছে। তবে ওড়ানো হয় না বললেই চলে। বেশির ভাগই ব্রিটেনের সংরক্ষণাগারে রয়েছে। দুই বিমানচালকের বার্তা, এই অভিযান তাঁদেরকে সম্মান জানিয়ে, যাঁরা স্পিটফায়ার বানিয়েছিলেন। যাঁরা সেই বিমান চালিয়েছিলেন। যাঁরা তাঁদের উৎসাহ দিয়েছিলেন।

স্পিটফায়ারটি প্রথম যাবে স্কটল্যান্ড। তার পরে অতলান্তিক পেরিয়ে ফারো দ্বীপ, গ্রিনল্যান্ড হয়ে উত্তর কানাডা। সেখান থেকে উত্তর আমেরিকা, এশিয়া ফের ইউরোপ ফেরা। বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানেও আজাইলের নামার কথা রয়েছে। যেমন, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, মাউন্ট ফুজি ও মিশরের পিরামিড। ব্রুকস বললেন, ‘‘স্পিটফায়ার থেকে গোল্ডেন গেট ব্রিজ, স্ট্যাচু অব লিবার্টি বা পিরামিড দেখব ভেবেই অসাধারণ লাগছে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE