মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
আগেই মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে পদ থেকে অপসারণ করতে প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু করেছিল সে দেশের প্রধান দুই বিরোধী দল। এ বার সরাসরি প্রেসিডেন্টকে ‘বয়কট’ করতে চলেছে তারা। সোমবার মলদ্বীপের পার্লামেন্টে বিবিধ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুইজ্জু। সে দেশের সংবাদপত্রগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট-ভাষণ বয়কট করতে চলেছে প্রধান দুই বিরোধী দল মলদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি) এবং দি ডেমোক্র্যাটস পার্টি। প্রসঙ্গত, এই দু’টি দলই মুইজ্জুর ‘উগ্র ভারত বিরোধী নীতি’র কড়া সমালোচনা করেছিল। তাই এই বয়কটের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক ছায়া ফেলেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
গত নভেম্বরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমডিপি-র মহম্মদ সোলিকে হারিয়ে জয়ী হলেও সে দেশের পার্লামেন্টে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এমডিপি-ই। দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলির দলের তরফে এই বয়কটের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। অবশ্য তাদের জোটসঙ্গী ডেমোক্র্যাটস পার্টির বক্তব্য, পার্লামেন্ট অনুমোদন না দেওয়া সত্ত্বেও তিন মন্ত্রীকে নিজের মন্ত্রিসভায় নিয়োগ করেছে মুইজ্জু সরকার। তার প্রতিবাদেই তারা প্রেসিডেন্টের ভাষণ বয়কট করছে। তিন মন্ত্রীকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু দিন আগেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধেছিল মলদ্বীপের পার্লামেন্টে। শাসক এবং বিরোধী দলের সাংসদেরা হাতাহাতিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েন।
সোমবার বেলার দিকে মলদ্বীপের পার্লামেন্টে তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন প্রারম্ভিক ভাষণ দেবেন মুইজ্জু। এই ভাষণে তিনি আগামী দিনে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি কোন পথে চলবে, তার দিশা দেখাবেন। কিছু দিন আগেই ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে সাসপেন্ড হন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। তার পর ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি হয়। ভারতকে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর সময় বেঁধে দেন ‘চিনপন্থী’ বলে পরিচিত মুইজ্জু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy