তিন বছর পরে প্রথম বার কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল দু’পক্ষ। তবে তুরস্কের ইস্তানবুলে ইউক্রেনে রুশ হামলার ১১৭৭তম দিনে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো এবং কিভ। দু’পক্ষই ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে শুক্রবার।
ইউক্রেনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাশিয়ার অনমনীয় মনোভাবের কারণেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বৈঠকে। মস্কোর উপর চাপ বাড়ানোর জন্য ইউক্রেনের তরফে ইউরোপের দেশগুলির কাছে নতুন করে আবেদন জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের বিদেশ দফতর বলেছে, ‘‘রাশিয়ার তরফে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবোচিত নয়।’’ অন্য দিকে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাশিয়া দাবি করেছে, ‘‘আলোচনা সঠিক দিশাতেই এগোচ্ছে।’’
আরও পড়ুন:
রাশিয়া এবং ইউক্রনের প্রতিনিধিরা ইস্তানবুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন বৃহস্পতিবারেই। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদানের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাতের পর্বও সাঙ্গ হয়েছিল। শুক্রবার সরকারি ভাবে ইস্তানবুলের রয়্যাল প্যালেসে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে প্রথমবার দু’তরফের মুখোমুখি আলোচনা শুরু হয়।
তুরস্কের বৈঠকে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভকে প্রতিনিধিদলের নেতা হিসাবে ইস্তানবুলে পাঠিয়েছেন। জ়েলেনস্কি নিজে তুরস্কে হাজির থাকলেও প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেননি। অন্য দিকে, আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো শুক্রবার সকালেই তুরস্কে পৌঁছেছেন। রুশ-ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি হাজির থাকবেন না। তবে আলাদা ভাবে দু’দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছে রুবিয়ো শুক্রবার বলেন, ‘‘আলোচনাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে প্রথমেই চূড়ান্ত সাফল্য মিলবে, এমন আশা করা ঠিক নয়।’’ তাঁর পূর্বাভাস মিলে গেল অনেকটাই।