ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের ভূমিকা বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হল রাষ্ট্রপুঞ্জে। মূলত ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ডস, কাতার ও সৌদি আরবের উদ্যোগে দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসবাদীদের বিচরণ বন্ধের কর্মসূচি নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তার তহবিলে ভারত দিয়েছে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার বেশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তনিয়ো গুতেরেস ভারতের ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি রক্ষী বাহিনীতেও ভারতের বড়সড় অংশগ্রহণ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। তার জন্যও অতীতে প্রশংসা পেয়েছে ভারত। বিভিন্ন ইতিবাচক ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন এখনও অধরা ভারতের। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছে ফ্রান্স। রাষ্ট্রপুঞ্জে তাদের স্থায়ী দূত ফ্রাঁসোয়া দেলাত্র বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির আরও ভাল প্রতিফলন ঘটা দরকার। সেই জন্যই রাষ্ট্রপুঞ্জে সংস্কার ঘটিয়ে ভারত এবং জার্মানি, ব্রাজিল, জাপানের মতো দেশগুলিকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই থাকতে পারে না।’’
চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও আমেরিকা— এই পাঁচ স্থায়ী সদস্যের পাশাপাশি ১০টি দেশকে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এই পরিষদে। এদের মেয়াদ দু’বছর করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য ১২২টি দেশের মধ্যে ৬০টি আজ পর্যন্ত এক বারের জন্যও নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই পায়নি। গত এপ্রিলে জার্মানির অস্থায়ী সদস্যপদের মেয়াদ শেষ হলে ফ্রান্সের দূত দেলাত্র বলেন, ‘‘জার্মানি, জাপান, ভারত, ব্রাজিল ও আফ্রিকার যথেষ্ট সংখ্যক দেশকে এই মঞ্চে প্রয়োজন। এটাই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিনেরও বক্তব্য, ‘‘এ পর্যন্ত লিখিত প্রস্তাবের ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই নিরপত্তা পরিষদে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যের সংখ্যা বাড়ানোর কথাই বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল, একুশ শতকে এসে বিশ্বটা আর সেই রকম নেই।’’ তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ শুধু নয়, সেগুলির কার্যকর প্রয়োগের জন্যও নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো একান্ত জরুরি বলে মনে করছেন দেলাত্র, আকবরুদ্দিনরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy