ফাইল ছবি
নতুন বছর পড়তেই দু’সপ্তাহের মধ্যে তিন বার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তিন বারই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে দাবিও করেছে সে দেশের সরকারি সাংবাদমাধ্যম। এই সাফল্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও আমেরিকার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে অন্য কারণে। তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অন্তত দু’টি তৈরির উপাদান পাঠানো হয়েছে সে দেশ থেকে। এই অভিযোগে আট কোরীয় এবং একজন রাশিয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা।
১১ জানুয়ারি তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে ৫ এবং ৬ জানুয়ারি আরও দু’টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে তারা। রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের উপস্থিতিতেই ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার উপর নজরদারি চালানোর জন্য তৈরি আমেরিকার বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে প্রথম দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপাদান পাঠানো হয়েছে সে দেশ থেকেই। এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণও তাদের হাতে আসে। সেই তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ওই উত্তর কোরীয় এবং রাশিয়ার নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংস্থাটি বিবৃতিতে জানায়, এই ভাবে উত্তর কোরিয়া বিদেশি প্রতিনিধিদের ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান সংগ্রহের জন্য।
বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এঁদের মধ্যে এক উত্তর কোরীয় এবং এক রুশ নাগরিক সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলক ভাবে ছোড়ে উত্তর কোরিয়া, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুয়ায়ী সেটি প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার (৬২১ মাইল) দূরে সাগরে ভাসমান লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল ভাবে আঘাত করতে সক্ষম হয়। হাইপারসনিক-এর অর্থ শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন। মাইলের এককে ধরলে প্রতি সেকেন্ডে এক মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy