Advertisement
E-Paper

খাশোগির ১৬ ‘খুনি’কে আমেরিকার না

সোমবার মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এই ঘোষণা করেন। মার্কিন সফরে যাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল, সেই ১৬ জনের মধ্যে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সৌদ আল কাহতানি এবং তাঁর বিদেশ সফরের সঙ্গী মাহের আব্দুলাজিজ মুতরেব আছেন বলেও হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৭
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুনে গোড়া থেকেই নিশানায় সৌদি রাজ পরিবার তথা প্রশাসন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নিয়ে কিছুই বলছেন না দেখে তাঁর উপর ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছিল মার্কিন কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতেই খাশোগি-খুনে মূল অভিযুক্ত ১৬ জন সৌদি নাগরিককে আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানাল ট্রাম্পের প্রশাসন।

সোমবার মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এই ঘোষণা করেন। মার্কিন সফরে যাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল, সেই ১৬ জনের মধ্যে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সৌদ আল কাহতানি এবং তাঁর বিদেশ সফরের সঙ্গী মাহের আব্দুলাজিজ মুতরেব আছেন বলেও হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর। এই ‘কালো তালিকা’ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সোমবার পম্পেয়ো ইঙ্গিত দিলেন, এই ১৬ জনের আত্মীয়েরাও ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।

গত বছর অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে খুন হন সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগি। গোড়ায় সৌদি আরব দায় এড়াতে চাইলেও, আমেরিকা, তুরস্ক-সহ একাধিক দেশের তদন্তে উঠে আসে— সৌদি যুবরাজের নির্দেশেই সে দিন সৌদি হিট স্কোয়াড ইস্তানবুলে গিয়েছিল খাশোগিকে খুন করতে। এখনও বিষয়টা প্রমাণ হয়নি। খাশোগির দেহও মেলেনি। অভিযোগ, সৌদি কর্তারাই তা লোপাট করেছে। সম্প্রতি রিয়াধও স্বীকার করে নেয় যে, যুবরাজের অলক্ষে তাঁর এক অনুচরই কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন পরিকল্পিত ভাবে।

ট্রাম্প গোড়া থেকেই সৌদি রাজ পরিবারকে আড়াল করে আসছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে সুর চড়াতে থাকা মার্কিন কংগ্রেস চলতি মাসের গোড়ায় ইয়েমেনে সৌদি সেনার পাশ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যা কি না নিশ্চিত ভাবেই ট্রাম্পের বিদেশনীতির পরিপন্থী।

এ দিকে, খবর পাওয়া গিয়েছে আমেরিকার মদতেই আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সৌদি আরব নিজেদের প্রথম পরমাণু চল্লি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলবে। এ নিয়েও কয়েক দফা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে কংগ্রেসে। গত সপ্তাহে যা মাত্রা ছাড়ায় পম্পেয়োর সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকা হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির কথা কাটাকাটিতে। হাউস জানতে চাইছে, সাংবাদিক খুন থেকে শুরু করে ইয়েমেন এমনকি নিজের দেশেও ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাওয়া সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কেন এখনও মুখ খুলছেন না ট্রাম্প?

Jamal Khashoggi Khashoggi Murder US Saudi Arabia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy