অভিযুক্ত: জেমস এরিক ডেভিস
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বাবা-মাকে গুলি করে খুন করল ১৯ বছরের এক ছাত্র। দিনভর তল্লাশি অভিযানের পরে রাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত জেমস এরিক ডেভিস।
শুক্রবার সকালে সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন ক্লাস চলছিল। গোটা ঘটনায় ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকরা ভিতরে আটকে পড়েন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল অবধি ক্লাসরুম, ডর্মেটরিতে আটকে থাকেন অনেকে। জেমস অবশ্য অধরাই ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, রাতে ট্রেনের এক যাত্রীর তাঁর সহযাত্রীটির ব্যবহারে সন্দেহ হয়। জেমসকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনিই। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গোটা পর্ব মিটতে মিটতে শনিবার ভোর হয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, জেমসের বাবাও এক জন পুলিশ অফিসার ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে, তাদের অনুমান পারিবারিক বচসার জেরেই মা-বাবাকে খুন করেছে জেমস। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, সকাল তখন সাড়ে ৮টা। মিশিগানের ওই কলেজ ক্যাম্পাসে হঠাৎই গুলির আওয়াজ। ভয়ে যে যেখানে পারেন, লুকিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ-কুকুর নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন গোয়েন্দারা। তল্লাশি শুরু হয় হেলিকপ্টারেও। বন্দুকবাজের খোঁজে গোটা শহরে ছড়িয়ে যায় পুলিশ। দুপুর তিনটে নাগাদ পুলিশই আটকে পড়া পড়ুয়াদের বের করে। জেমসকে পাকড়াও করতে রাত গড়িয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, জেমস ইলিনয়ের বাসিন্দা। কিন্তু মিশিগানে পড়াশোনা করত। ধরা পড়ার পরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের সন্দেহ ছিল, অতিরিক্ত মাদকের ফলেই হয়তো এই কাজ করেছে সে। পরে হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কী ধরনের বন্দুক ব্যবহার করেছিল জেমস, কোথা থেকেই বা সেটা পেয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। ঠিক কী করণে সে মা-বাবাকে খুন করল, এখনও জানা যায়নি তা-ও। মিশিগানে বন্দুক সঙ্গে রাখা বৈধ, কিন্তু সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বন্দুক রাখার অনুমতি নেই। কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সে বন্দুক নিয়ে ঢুকল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তা-ও।
গত বৃহস্পতিবারই, বন্দুকের অপব্যবহার রুখতে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেমন, রাইফেল কেনার বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হবে, ক্রেতার রেকর্ড খতিয়ে দেখতে হবে, মানসিক অসুস্থ কিংবা বিপজ্জনক ব্যক্তি যেন অস্ত্র কিনতে না পারে, সে দিকে নজর দিতে হবে। যদিও এক দিন বাদেই মত বদলে ফেলেছেন ট্রাম্প, গত কাল দাবি করেছে ‘ন্যাশনাল রাইফল অ্যাসোসিয়েশন’। তার পরেই মিশিগানের ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে অস্ত্র-আইন নিয়ে। দু’শতকেরও বেশি পুরনো ১৯৭১ সালের সেই আইন কি সত্যিই বদল করা হবে না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy