Advertisement
E-Paper

তাইওয়ান দখলের চেষ্টায় চিন! ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিকে প্রতিরক্ষা খাতে আরও টাকা ঢালার আর্জি আমেরিকার

আমেরিকার এ হেন মন্তব্যের পরেই মুখ খুলেছে বেজিং। পিটের মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে দাবি করেছে তারা। সিঙ্গাপুরের চিনা দূতাবাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘পিট হেগসেথ বার বার চিনকে কটাক্ষ এবং উপর্যুপরি আক্রমণ করেছেন।’’

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ২১:৫২
(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প। শি জিনপিং (ডান দিকে)

(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প। শি জিনপিং (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।

এশিয়ায় ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’কে নষ্ট করাই চিনের লক্ষ্য। প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতেও পিছপা হবে না তারা। এমনটাই দাবি করলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। এই পরিস্থিতিতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিকে প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থব্যয়ের পরামর্শ দিলেন পিট। শুধু তা-ই নয়, ওই অঞ্চলে আমেরিকার উপস্থিতি আরও স্পষ্ট করার কথাও বললেন তিনি।

সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে আয়োজিত বার্ষিক ‘শাংগ্রি-লা বৈঠকে’ ওই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট। পিটের মন্তব্যের পরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিনও। পিট বলেন, ‘‘এশিয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন৷ ক্রমাগত হুমকিও দিয়ে চলেছে তারা৷ এই হুমকিকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। পরবর্তীতে তা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে৷’’ এ জন্য ওই অঞ্চলে আমেরিকার মিত্রদেশগুলিকে নিরাপত্তা খাতে আরও বেশি ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছেন পিট। এমনকি, চিন তাইওয়ানের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পিটের কথায়, ‘‘এতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত রাষ্ট্রগুলির উপর চরম আঘাত নেমে আসবে। শুধু তা-ই নয়, এর ফল ভুগতে হবে বিশ্বকেও।’’ তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জানিয়েছেন, এই লড়াইয়ে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির পাশে রয়েছে আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প মসনদে থাকাকালীন তাইওয়ানের উপর চিন কোনও ভাবেই দখল কায়েম করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

আমেরিকার এ হেন মন্তব্যের পরেই মুখ খুলেছে বেজিং। পিটের মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে দাবি করেছে তারা। সিঙ্গাপুরের চিনা দূতাবাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘পিট হেগসেথ বার বার চিনকে কটাক্ষ এবং উপর্যুপরি আক্রমণ করেছেন। ‘চিনের হুমকি’ নিয়েও নানা মনগড়া কথা নিরলস ভাবে প্রচার করেছেন। কিন্তু আদতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ক্ষেত্রে আমেরিকা নিজেই সবচেয়ে বড় ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’!’’

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসাবেই দেখে চিন। অতীতেও তারা জানিয়েছে, প্রয়োজনে দ্বীপটিকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারে তারা। যদিও তাইওয়ানের সরকারের কথায়, কেবলমাত্র তাইওয়ানের জনগণই দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। তবে সাম্প্রতিক কালে তাইওয়ানের নিকটবর্তী অঞ্চলে আরও বেশি করে সামরিক মহড়া শুরু করেছে বেজিং। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে ইন্দো-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের আশ্বাস, চিনা আগ্রাসনকে যে কোনও মূল্যে প্রতিহত করতে প্রস্তুত পেন্টাগন৷ এ বিষয়ে মিত্র রাষ্ট্রগুলিকেও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকা।

US China Taiwan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy