ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝেই বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বলে বাজার গরম করতে চাইছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করে এই দাবি করেছে আমেরিকা। পাশাপাশি, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ওয়াশিংটন নাক গলাচ্ছে বলে ইমরান যে অভিযোগ তুলেছেন, আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস তা খারিজ করেছেন।
নেড শুক্রবার বলেন, ‘‘পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার নেপথ্যে আমেরিকার ভূমিকা রয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তার কোন সত্যতা নেই। পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনকে আমেরিকা সম্মান করে এবং সমর্থন করে।’’
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইমরান অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সরকারের স্বাধীন বিদেশনীতি অনেকেরই না পসন্দ। তাই বিরোধীদের কাজে লাগিয়ে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে বিদেশি শক্তি। পাকিস্তানের প্রতি আমেরিকায় বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘‘৯/১১ সন্ত্রাসে এক জনও পাকিস্তানি জড়িত ছিলেন না। তবুও আমেরিকার সেনা অভিযানে (আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে) বহু পাকিস্তানের বহু নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।’’ ৯/১১ সন্ত্রাসের পর আমেরিকায় পাকিস্তানিদের পদে পদে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন পাক ক্রিকেটার-রাজনীতিক।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ইমরানের বক্তৃতার পরে ইসলামাবাদে আমেরিকার হাই কমিশনের উপপ্রধান তথা রাজনৈতিক বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রিচার্ড স্নেলসায়ারকে তলব করেছিল পাক বিদেশমন্ত্রক। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ‘কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র’ (ডিমার্শ) দেওয়া হয় তাঁকে। কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রকাশ্যে সেই অভিযোগের জবাব দিল আমেরিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy