হাইড্রোজেন বোমার দাবির পাল্টা বোমারু বিমানের মহড়া। দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে আজ একটি মার্কিন বোমারু বিমান উড়তে দেখা গিয়েছে। দূরপাল্লার এই বি-৫২ বিমান পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা, উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি যে পরীক্ষামূলক হাইড্রোজেন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তারই প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকার এই শক্তি প্রদর্শন। ওয়াশিংটনও তা বুক ঠুকে জানিয়েছে। অর্থাৎ, উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বজায় রাখতে আক্ষরিক অর্থেই এ বার ওয়াশিংটনকে পাশে পেল সোল।
সোল থেকে ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ওসান বিমানঘাঁটির আকাশে আজ এই মার্কিন বোমারু বিমানটিকে উড়তে দেখা যায়। ওয়াশিংটনের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫ এবং আমেরিকার এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গেই আজ মহড়ায় নামে বি-৫২। পরে তা ফিরে আসে দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াম বিমানঘাঁটিতে। এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে গোপন যৌথ মহড়ায় বি-৫২ বিমান নামিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু জনসমক্ষে এই বোমারু বিমানের ব্যবহার এ বারই প্রথম। এর আগে ২০১৩-য় উত্তর কোরিয়া যখন তৃতীয় বার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালায়, তখনও ওয়াশিংটন একই ভাবে এই বিমান উড়িয়ে চোখ রাঙাতে চেয়েছিল।
সত্যিই কি হাইড্রোজেন বোমা ফাটিয়েছে উত্তর কোরিয়া? বিতর্ক রয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি এই পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণে সাফল্য দাবি করে কিমের সরকার। সে দিন মুখ না খুললেও আজ
অবশ্য কিম জং জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার্থেই এই বিস্ফোরণের আয়োজন। তাঁর দাবি, পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েই চলেছে আমেরিকা। আর তার জবাব দিতেই হাইড্রোজেন বোমা ফাটিয়েছেন তাঁরা।
অবশ্য আজ মার্কিন বোমারু বিমানের মহড়া নিয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি কিম। বরং বিস্ফোরণের চার দিন পরেও নিন্দার ঝড় তুলেই চলেছে সোল। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাইক বাজানো শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy