Advertisement
E-Paper

রাতভর আলোচনার শেষে ট্রাম্পের ‘সুন্দর বিল’ পেরোল ‘বাধা’! অপেক্ষা চূড়ান্ত ভোটাভুটির

মঙ্গলবার সেনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে অনুমোদন পেয়েছিল ট্রাম্পের নয়া বিল। ২৪ ঘণ্টাব্যাপী তর্কবিতর্কের পর মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে বিলটি অনুমোদন পায়। মার্কিন আইনসভার নীতি মেনে পরের দফায় বিলটি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভস’-এ অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।

রাতভর আলোচনার পর অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর সংস্কার এবং অভিবাসন সংক্রান্ত বিলের জট কাটল। ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই মতবিরোধ সত্ত্বেও প্রসিডিউরাল ভোটে ২১৯-২১৩ ব্যবধানে বিলের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। বৃহস্পতিবারই বিলের উপর চূ়ড়ান্ত ভোটাভুটি হবে।

ট্রাম্পের এই ‘বড় ও সুন্দর’ বিলটি চলতি সপ্তাহেই অনুমোদন করেছিল মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেট। দ্বিতীয় দফায় বিলটি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ তথা ‘হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভস’-এ অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়েছে। বুধবার (আমেরিকার সময় অনুযায়ী) রাতভর এই বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার পর প্রসিডিউরাল ভোট হয়।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর, বিরোধী ডেমোক্র্যাটেরা ছাড়াও মুষ্টিমেয় সংখ্যক রিপাবলিকানও এই বিলের বিপক্ষে। তাঁদের রাজি করাতে তাঁদের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে ট্রাম্পের দল। কিন্তু সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সুরাহা মেলেনি। শেষমেশ হাউস স্পিকার মাইক জনসন প্রসিডিউরাল ভোটের সিদ্ধান্ত নেন। সেই ভোটে ২১৯-২১৩ ভোটে ব্যবধানে ছাড়পত্র মিলেছে।

মঙ্গলবার সেনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে অনুমোদন পেয়েছিল ট্রাম্পের নয়া বিল। ২৪ ঘণ্টাব্যাপী তর্কবিতর্কের পর মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে বিলটি অনুমোদন পায়। মার্কিন আইনসভার নীতি মেনে পরের দফায় বিলটি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভস’-এ অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়েছে। বিলটি হাউসের অনুমোদন পেলে উচ্চ আয়ের মার্কিন নাগরিকেরা করছাড় সংক্রান্ত সুবিধা পাবেন। অন্য দিকে, মেডিকেড, এসএনএপির মতো জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির ব্যয় কমিয়ে আনা হবে ১ লক্ষ কোটি ডলারে!

বিলে নিম্ন আয়ের ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ফেডারেল স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি থেকে বিপুল অর্থ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যেই ওই বিল নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে আমেরিকা জুড়ে। তা ছাড়া এই বিল কার্যকর হলে অভিবাসন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষাখাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা সহজ হয়ে যাবে। সপ্তাহখানেক আগেই ট্রাম্পের বিলের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন মার্কিন ধনকুবের তথা একদা ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ওই বিল আইনে পরিণত হলে তা হবে রিপাবলিকান পার্টির ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’র শামিল। মাস্ক সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘বিলটি আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান ধ্বংস করে দেবে। এটা উন্মাদ এবং ধ্বংসাত্মক।’’ যদিও নতুন অর্থবিলটিকে বরাবর ‘বড় ও সুন্দর বিল’ বলেই ব্যাখ্যা করে এসেছেন ট্রাম্প। প্রথম থেকেই তিনি দাবি করছেন, এই বিল আমেরিকার অর্থনৈতিক উন্নতিতে আরও গতি আনবে।

Bill Donald Trump US House of Representatives
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy