এয়ারট্যাগের মাধ্যমে স্ত্রীর গাড়ি কোথায় দাঁড় করানো রয়েছে, তা খুব সহজেই ট্র্যাক করতে পারতেন কার্লস। ছবি: সংগৃহীত
বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এক মাস আগেই। তবুও প্রাক্তন স্ত্রীকে চোখে হারাতে চাইছেন না আমেরিকার বাসিন্দা কার্লস অ্যাটকিন্স। প্রাক্তন স্ত্রী কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন— তার উপর নজর রাখতে স্ত্রীর গাড়ির ভিতর ‘অ্যাপল’-এর একটি এয়ারট্যাগ লাগিয়ে রেখেছিলেন। এয়ারট্যাগের মাধ্যমে স্ত্রীর গাড়ি কোথায় দাঁড় করানো রয়েছে, তা খুব সহজেই ট্র্যাক করতে পারতেন কার্লস। সোমবার প্রাক্তন স্ত্রীর উপর অন্যায় ভাবে নজরদারি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কার্লসকে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, এক মাস আগে কার্লসকে ছেড়ে গিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। বাড়ি ছাড়ার পর তিনি যেখানেই যেতেন, কার্লস তাঁর পিছু নিতেন বলে দাবি করেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী।
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি যখন তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন, তখন দেখেন তাঁর গাড়ির ভিতরে গোলাপ ফুল রাখা। এমনকি, মিসিসিপির একটি রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে তিনি যখন তাঁর বোনের বাড়িতে যান তখনও তাঁর পিছু নিয়েছিলেন কার্লস। এমনটাই অভিযোগ কার্লসের প্রাক্তন স্ত্রীর। তাঁকে অনুসরণ করার পর বোনের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করার অজুহাতে বোনের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কার্লস।
আর সহ্য করতে না পেরে কার্লসের প্রাক্তন স্ত্রী তাঁর কন্যাকে ফোন করে জানান যে, কার্লস যেন কোনও রকম ভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করেন। তার পরেও কার্লস থামেননি। এক আত্মীয়ের ফোন থেকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে ফোন করে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি গাড়ির ভিতর এয়ারট্যাগ লাগিয়েছেন। কার্লসের প্রাক্তন স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কার্লসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ‘অ্যাপল’ সংস্থার মুখপাত্র দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘আমরা জনসাধারণের সুবিধা এবং সুরক্ষার কথা ভেবে সব কিছু তৈরি করি। এয়ারট্যাগ কিছু জিনিস ট্র্যাক করার জন্য বানানো হয়েছে, যাতে তা হারিয়ে গেলে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। কোনও মানুষকে অনুসরণ করার জন্য এর ব্যবহার করা যায় না। কারও অনুমতি ছাড়া এই কাজ করা একদম উচিত হয়নি। বিনা অনুমতিতে কিছু ট্র্যাক করা হলে আমরা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দিই। তৎসত্ত্বেও এমন এক ঘটনা ঘটে গেল। আমাদের খুব খারাপ লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy