Advertisement
E-Paper

মেক্সিকো উপসাগরের পর ট্রাম্পের ‘নজর’ গ্রিনল্যান্ড, পানামা, কানাডায়, বলপ্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদেই দেশের পরিসর বাড়াতে গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ওই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপের উপর ডেনমার্কের অধিকার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৯
US president-designate Donald Trump escalates threats against Canada, Greenland and Panama

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল ছবি।

কুর্সিতে বসার আগেই ‘চাপের কূটনীতির’ রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি! এর পর জানালেন, আমেরিকার বাণিজ্যিক এবং ভৌগোলিক পরিসর বাড়াতে পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান তিনি। পাশাপাশি, ওয়াশিংটনের স্বার্থের পরিপন্থী কোনও আচরণ না করার জন্য হুঁশিয়ারি দিলেন পড়শি দেশ কানাডাকেও!

‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ আমেরিকার স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজনীয় সামরিক শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনার পথও খোলা রাখার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ফ্লরিডা রিসর্টে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেওয়ার পরে পানামা এবং গ্রিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে সামরিক ও অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ করবেন না— বিশ্বকে তিনি এমন নিশ্চয়তা দিতে পারবেন কি না। জবাবে রিপাবলিকান নেতা বলেন, ‘‘না, ওই দু’টি ক্ষেত্রের কোনওটির বিষয়েই আমি আপনাদের কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারব না। তবে আমি এটা বলতে পারি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের ওই দু’টিকেই (পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড) প্রয়োজন।’’

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদেই দেশের পরিসর বাড়াতে কানাডার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ওই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপের উপর ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্কের অধিকার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। কয়েক মাস আগে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে আমেরিকা মনে করে যে, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে অপরিহার্য।’’ পত্রপাঠ সেই দাবি খারিজ করেছিল ডেনমার্ক। কিন্তু এ বার সরাসরি বলপ্রয়োগের বার্তা এল হোয়াইট হাউসের পরবর্তী বাসিন্দার তরফে।

অন্য দিকে, বিশ্ববাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হল পানামা খাল। গত শতকের গোড়ায় আমেরিকাই প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের সংযোগরক্ষাকারী এই খালটি খনন করেছিল। তাদের হাতেই পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ছিল। পরে ১৯৯৯ সালে মধ্য আমেরিকার দেশ পানামার হাতে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু এখন ট্রাম্পের দাবি মেনে দখল ছাড়তে রাজি নয় পানামা। সে দেশের প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মার্টিনেজ় আচা বলেন, ‘‘শুধু পানামার জনগণের হাতে এই খালের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং তাদের হাতেই এই খালের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’’ অন্য দিকে, আমেরিকার উত্তরের প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে আমেরিকার সামরিক সহায়তা এবং বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা ভাল প্রতিবেশী ছিলাম। কিন্তু তা চিরকাল তো চলতে পারে না।’’ এমনকি, আমেরিকা যদি কানাডার দখল নেয়, তা হলেও ‘গুরুতর কিছু হবে না’ বলে জানান তিনি।

Donald Trump US President Canada Greenland Panama
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy