এক দিকে ইজ়রায়েলকে প্রায় নিঃশর্ত সমর্থন করায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আমেরিকার দক্ষিণপন্থীদেরই একাংশের কাছে। অন্য দিকে শুল্ক যুদ্ধেরও গতিপ্রকৃতি অনুকূল নয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের মাটিতে শক্তি প্রদর্শন করতে সামরিক শক্তিকেই বেছে নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আজ ট্রাম্পের জন্মদিন। আবার আমেরিকান সেনার ২৫০তম বার্ষিকীও এ দিন। ওয়াশিংটনে খাস হোয়াইট হাউসের পিছনে কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউয়ে প্রায় ৬,৬০০ সেনা, আব্রামস ট্যাঙ্ক, ব্র্যাডলে সাঁজোয়া গাড়ি ও একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার নিয়ে প্রদর্শনীতে নামবে আমেরিকান সেনা। অন্য দিকে ন্যাশনাল মলেও একই সঙ্গে একটি সামরিক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে থাকবে প্রাচীন যুদ্ধবিমানও। পাশাপাশি আজ ইরানে ইজ়রায়েলি হানাকে পুরোপুরি সমর্থন করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমি ইরানকে ৬০ দিন সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি।’’ পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে নিশানা করে ইজ়রায়েলের হামলার ফলে গোটা পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর আগে প্রকাশ্যে এই অভিযানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো-সহ ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু এ দিন ট্রাম্প সরাসরি দাবি করেছেন, ‘‘দু’মাস আগে ইরানকে চুক্তি করার জন্য (পরমাণু প্রকল্প নিয়ে) ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা তা মানতে পারেনি।’’ ট্রাম্পের দাবি, ‘‘ইরান ও ইরানি কমান্ডারেরা জানতেন না কী হতে চলেছে। এখন ওই কমান্ডারেরা সকলেই মৃত। ’’
কিন্তু প্রায় নিঃশর্তে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আমেরিকান দক্ষিণপন্থীদেরই একাংশ। আমেরিকান স্বার্থকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য (আমেরিকা ফার্স্ট) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞ ট্রিটা পারসির মতে, ‘‘এমন লড়াইয়ে জড়ানো নিয়ে আমেরিকা ফার্স্টের সমর্থকদের প্রবল আপত্তি আছে। তাই দেশের মাটিতে সামরিক শক্তির প্রদর্শন করে ট্রাম্প জমি ফিরে পেতে চান।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)