আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল চিত্র ।
‘গুপ্তচর’ বেলুন ধ্বংস করার জন্য তিনি কারও কাছে ক্ষমাপ্রার্থী নন। বৃহস্পতিবার বেলুনকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে জানিয়ে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, আমেরিকার আকাশে চিনা ‘গুপ্তচর’ বেলুন নষ্ট করার পর আরও যে বেলুনগুলি নজরে এসেছিল তা চিনের বা অন্য কোনও দেশের ছিল বলে এখনও তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কোনও তথ্য দেয়নি। তবে আমেরিকার আকাশকে রক্ষা করতে তিনি সব রকমের ব্যবস্থা নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাইডেনের কথায়, “বেলুন নামানোর জন্য কোন ক্ষমা চাইতে রাজি নই।’’ বাইডেন আরও জানান, আমেরিকার আকাশে ‘অজ্ঞাত বায়বীয়’ বস্তুর দেখা মিললে কী করতে হবে, তা নিয়ে তাঁর প্রশাসন নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে। তিনি যোগ করেন, ‘‘আমেরিকার আকাশে এই ধরনের সন্দেহজনক বেলুনের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়েছে বলে কোনও প্রমাণ নেই। তবে চিনা বেলুনের দেখা মেলার পর থেকে আমেরিকা আরও বেশি সতর্ক হয়েছে।’’
বাইডেন জানান, ৪ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার আকাশে যে ‘গুপ্তচর’ বেলুন ধ্বংস করা হয়েছিল, তা চিনের হলেও তার পরের বেলুনগুলি চিনের নয়। সম্ভবত ওই বেলুনগুলি কোনও বেসরকারি সংস্থা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আমেরিকার আকাশসীমার মধ্যে বেলুন প্রবেশ করিয়ে নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি শীঘ্রই কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, ‘‘আমরা চিনের সঙ্গে কোনও বিরোধ চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। আমরা কোনও নতুন ঠান্ডা লড়াইয়ের পথে যেতে চাইছি না।’’ একই সঙ্গে ‘গুপ্তচর’ বেলুনগুলি নিয়ে আমেরিকার নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে যে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে, তাকেও বেশি আমল দিতে রাজি নন বলেই জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
আমেরিকার ‘স্পর্শকাতর’ সামরিক কেন্দ্রগুলির উপর নজরদারি চালাচ্ছে দাবি করে ৪ ফেব্রুয়ারি চিনের বেলুন গুলি করে নামায় আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। যদিও বেজিং সেই দাবি অস্বীকার করে জানায়, ওই বেলুন শুধুমাত্র আবহাওয়া সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক কারণে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তাপ বেড়েছে। আমেরিকাকে এক প্রকার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy