কাতারের রাজধানী দোহায় আরব-ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির জরুরি বৈঠকের আগে আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো আজ ইজ়রায়েলে পৌঁছলেন। তাঁর বার্তা, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দোহায় সাম্প্রতিক ইজ়রায়েলি হামলার ব্যাপারে ‘মোটেও খুশি নন’; তবে ‘ইজ়রায়েলের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের ধরন এতে বদলে যাবে না’। আর এ সবের মধ্যে আজ সকাল থেকে গাজ়া সিটিতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজ়রায়েলি হামলায়।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে রুবিয়োর। গত সপ্তাহে দোহায় ইজ়রায়েলি হামলার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, বিশ্ব জুড়ে প্রবল নিন্দার মধ্যে তাঁর এই সফর অনেকটা মুখরক্ষার চেষ্টা বলেই দেখছেন অনেকে। তবে আজ রুবিয়ো বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট চান ব্যাপারটা এখানেই শেষ হোক। আর শেষ হোক মানে ৪৮ জন পণবন্দির সবাইকে একসঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হোক।”
রুবিয়ো জানিয়েছেন, হামাস যাতে কোনও ভাবেই আর না ফিরতে পারে, সেই বিষয়েই ট্রাম্প সব থেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তাঁর বার্তা, “হামাস এখন আর কোনও ঝুঁকি নয়, সুতরাং আমরা পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যেতেই পারি। তা হল, কী ভাবে গাজ়াকে নতুন করে গড়ে তোলা যায় সেটা দেখা।” তবে সেটা কে করবে, কে অর্থ দেবে, দায়িত্বই বা নেবে কে— সে সব স্থির হওয়া এখনও বাকি, বলেছেন তিনি।
এ দিকে, গাজ়ায় যুদ্ধ থামাতে দীর্ঘ সময় ধরে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। সাম্প্রতিক ইজ়রায়েলি হামলার পরে তারা সোমবার দোহায় জরুরি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আরব-ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিকে। তার আগে আজ ছিল ওই রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুলরহমান অল থানি নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বলেছিলেন, কাতার ইজ়রায়েলি হামলার সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ার পথে হাঁটবে। কারণ, এটি পুরো অঞ্চলেরই নিরাপত্তার প্রশ্ন।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান, সিরিয়া, লেবানন এবং ইয়েমেনেও ইজ়রায়েল হামলা হামলা করেছিল। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম দোহায় সোমবারের বৈঠকে থাকবেন বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন। তবে ৫৭ সদস্যের অর্গানাইজ়েশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন এবং আরব লিগের ২২ সদস্যের মধ্যে কারা কারা যোগ দেবে, সেটা অবশ্য এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। সংবাদ সংস্থা
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)