Advertisement
E-Paper

ভারত ও পাকিস্তানকে ‘শান্ত’ করতে উদ্যোগী আমেরিকা, দুই বিদেশমন্ত্রীকে ফোন করবেন ট্রাম্পের বিদেশসচিব রুবিও

ভারতের পাশে দাঁড়ালেও পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানের কোনও সমালোচনা করেনি আমেরিকা। বরং, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশকেই এ প্রসঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ করতে অনুরোধ করেছিল ওয়াশিংটন।

(বাঁ দিক থেকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ।

(বাঁ দিক থেকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৩
Share
Save

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ‘শান্ত’ করতে উদ্যোগী আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ভারত এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে ফোন করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবারই রুবিও ফোন করতে পারেন। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি পহেলগাঁও-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না-হয়, তা নিশ্চিত করার আর্জি জানাবেন।

গত রবিবার ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রেখেছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। দুই দেশকেই উদ্ভূত সমস্যার ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ খুঁজতে বলেছিল ট্রাম্পের প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতি তেমন বদলায়নি। তাই এ বার রুবিও সরাসরি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অন্য দেশগুলিকেও ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন রুবিও। মুখপাত্রের কথায়, ‘‘আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাদের বলছি, পরিস্থিতি আরও খারাপ না-করতে। মঙ্গল বা বুধবারের মধ্যেই বিদেশসচিব ভারত এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। অন্য রাষ্ট্রনেতা এবং বিদেশমন্ত্রীদেরও তিনি পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে দুই দেশের সঙ্গে কথা বলতে উৎসাহ দিচ্ছেন।’’

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। পহেলগাঁওয়ের হামলার পরেই আমেরিকা বিবৃতি জারি করেছিল। হামলার নিন্দা করে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ভারতে থাকাকালীনই এই হামলা হয়েছিল। ভান্সও হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তবে ভারতের পাশে দাঁড়ালেও পাকিস্তানের কোনও সমালোচনা করেনি আমেরিকা। বরং, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশকেই এ প্রসঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ করতে অনুরোধ করেছিল ওয়াশিংটন। এ বার ব্যক্তিগত ভাবে বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন রুবিও।

পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানিদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তান তার পাল্টা হিসাবে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেছে। ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমাও বন্ধ করা হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এই টানাপড়েনের পরিস্থিতির মাঝেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। এই ঘটনায় পাকিস্তান নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সেই দাবিকে সমর্থন করেছে চিন। সেই সঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী।

Jammu and Kashmir Pahalgam Pahalgam Terror Attack US Pakistan Marco Rubio S jaishankar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy