Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
International News

ভারতে ফের জঙ্গি হামলা হলে খুব বিপদে পড়বে পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি আমেরিকার

নিজেদের ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জইশ ও লস্কর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি ও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিক ইসলামাবাদ। আর সেটা হোক প্রমাণসাপেক্ষে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- এএফপি

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ১২:৩৪
Share: Save:

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দ্রুত, দীর্ঘমেয়াদি ও প্রমাণসাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়াল আমেরিকা। বিষয়টিকে লঘু করে দেখলে পাকিস্তানকে যে তার গুনাগার দিতে হবে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দিল ওয়াশিংটন।

হোয়াইট হাউসের এক পদস্থ কর্তা বুধবার বলেছেন, ‘‘আবারও যদি ভারতের উপর আঘাত হানে সন্ত্রাসবাদীরা আর জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কোনও দীর্ঘমেয়াদি ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ করতে না পারে ইসলামাবাদ, তা হলে পাকিস্তানের পক্ষে পরিস্থিতিটা অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠবে। কারণ, আমেরিকা চায় না, কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাক।’’

ওয়াশিংটন কী চাইছে, তা স্পষ্ট করে দিয়ে হোয়াইট হাউসের ওই পদস্থ কর্তা বলেছেন, যেটা সকলেরই কাম্য তা হল, নিজেদের ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জইশ ও লস্কর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি ও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিক ইসলামাবাদ। আর সেটা হোক প্রমাণসাপেক্ষে।

আরও পড়ুন- চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের দ্বিতীয় সম্মেলনও বয়কট? ইঙ্গিত নয়াদিল্লির​

আরও পড়ুন- পুলওয়ামা হামলা ভুলিনি, ডোভালের হুঁশিয়ারি পাককে​

তাঁর কথায়, ‘‘পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে পুরোপুরি নির্মূল করা প্রয়োজন। দেখা উচিত সেগুলিতে যেন ফের ঘাঁটি না গাড়তে পারে সন্ত্রাসবাদীরা।’’

সন্ত্রাবাদীদের বিরুদ্ধে ইমরান সরকারের চালানো অভিযানে যে ওয়াশিংটন সন্তুষ্ট নয়, তা বুঝিয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউসের ওই পদস্থ কর্তা বলেছেন, ‘‘যা যা হয়েছে, সেই সবই খুব প্রাথমিক স্তরের। জনাকয়েক জঙ্গির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েক জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জইশের কয়েকটি ঘাঁটির উপর সরকারি কর্তৃত্ব কায়েম করেছে ইসালামাবাদ। এই টুকুই। কিন্তু আমরা আরও কিছু সদর্থক ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা দেখতে চাইছি। কারণ, আমরা দেখেছি, আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, কিছু দিন পর তারা ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। তাদের পাকিস্তানে নানা জায়গায় ঘুরতেও দেওয়া হচ্ছে। জনসমাবেশে ভাষণও দিতে দেওয়া হচ্ছে।’’

এর ফলে যে ইসলামাবাদকে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হতে পারে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ওই কর্তা। ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঋণের বোঝা হাল্কা করার ব্যাপারে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের কাছে যে আর্জি জানাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের অনীহা থাকলে, তা মেনে নেওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE