Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ছাড়তে চিঠি আমেরিকার

হোয়াইট হাউসে আসার আগে থেকেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছিলেন তিনি। তার পর জি-২০ শীর্ষ বৈঠক থেকে ফিরে ১ জুন চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। যুক্তি দেন, প্যারিস চুক্তি আমেরিকার উপর বোঝা। এ থেকে ফায়দা লুটছে ভারত, চিনের মতো দেশ।

হোয়াইট হাউসে আসার আগে থেকেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছিলেন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে আসার আগে থেকেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছিলেন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৩:০৫
Share: Save:

ফিরেও আসতে পারি— গত কাল এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার কথা লিখিত ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানাল আমেরিকা। আর ঠিক তার পর-পরই সপরিবার ১৭ দিনের ছুটি কাটাতে চলে গেলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে আসার আগে থেকেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছিলেন তিনি। তার পর জি-২০ শীর্ষ বৈঠক থেকে ফিরে ১ জুন চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। যুক্তি দেন, প্যারিস চুক্তি আমেরিকার উপর বোঝা। এ থেকে ফায়দা লুটছে ভারত, চিনের মতো দেশ। তাই মাঝে খানিক সুর নরম করলেও, বারাক ওবামার সই করা এই চুক্তি যে তাঁর নাপসন্দ, বারবার তা বুঝিয়েছেন ট্রাম্প। গত কালের ঘোষণায় অবশ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে চুক্তির শর্ত যদি মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থ কিংবা বাণিজ্যের অনুকূলে হয়, তবে আমেরিকা ফিরেও আসতে পারে প্যারিস চুক্তিতে। পরিবেশ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রয়াসেও থাকতে রাজি তারা।

অবসরে: নাতি-নাতনিকে নিয়ে নিউ জার্সিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে ২৭ বছরের পুরনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংস্কার করা হবে।
সেই কারণে নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে ব্যক্তিগত গল্ফ ক্লাবে ১৭ দিনের ছুটি কাটাবেন ট্রাম্প।

তা হলে, সরে আসতে চেয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জকে হঠাৎ লিখিত নোটিস কেন? কূটনীতিকরা অনেকেই একে প্রতীকী বলছেন। অবাস্তবও বলছেন অনেকে। কারণ, নিয়ম মোতাবেক— ২০১৯-এর ৪ নভেম্বরের আগে কোনও দেশই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না। আর রাষ্ট্রপুঞ্জ যদি সরে আসার অনুমতিও দেয়, তবু তা হতে-হতে ২০২০-র শেষভাগ। কিন্তু তত দিনে তো ফের ভোট এসে যাবে আমেরিকায়! ট্রাম্পের জায়গায় যদি হোয়াইট হাউসে নতুন কেউ আসেন? আর তিনি যদি প্যারিস চুক্তির পক্ষেই সওয়াল করেন, তা হলে আমেরিকা এমনিতেই চুক্তিতে থেকে যাবে বলে হিসেব মেলাচ্ছেন অনেকে।

জুনেই ট্রাম্প জানান, আমেরিকার সঙ্গে সুবিচার হয়, এমন শর্তে তিনি আর একটি জলবায়ু চুক্তি করতে চান। কিন্তু বাকি বিশ্ব তা মানতে চায়নি। ট্রাম্প প্রশাসন তাই বাধ্য হয়েই এ দিন প্যারিস চুক্তিতে ফেরার ইঙ্গিত দিল কি না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। মার্কিন বিদেশ দফতর যদিও জানিয়েছে, সব নিয়ম মেনেই চুক্তি প্রত্যাহার করা হবে। ফলে আগামী দিনে এই চুক্তি নিয়ে যতগুলি বৈঠক হবে, সবক’টিতে হাজিরা দেবেন ট্রাম্পের কর্মকর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE