Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লির পাশে থাকার বার্তা ওয়াশিংটনে

জম্মু-কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সাম্প্রতিক শুনানিতে অস্বস্তিতে পড়েছিল ভারত।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪৪
Share: Save:

চিনের ওবর প্রকল্প থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি হামলা নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন সরকারি কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। ভারতকে পরিস্থিতির শিকার হিসেবে বর্ণনা করে, নয়াদিল্লির হাত শক্ত করার ডাকও দিয়েছেন তাঁরা।

জম্মু-কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সাম্প্রতিক শুনানিতে অস্বস্তিতে পড়েছিল ভারত। কিন্তু ফ্লরিডা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ফ্রান্সিস রুনি সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘ভারত এই মুহুর্তে বহু আঞ্চলিক এবং ভূকৌশলগত চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে। ইসলামি সন্ত্রাসবাদের ধারাবাহিক চাপ রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে এবং ভারতের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে এই সন্ত্রাসবাদ। আমাদের উচিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লির পাশে থাকা।’’ এর পরেই চিনের প্রসঙ্গ তুলে রুনি বলেছেন, ‘‘গোটা ভারত প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা চিনের মোকাবিলাও করতে হচ্ছে ভারতকে। চিনের আচরণে ভারতের প্রতিবেশী বলয়ে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তারা ঋণের ফাঁদে ফেলে অনেক দেশকে কিনে নিচ্ছে।’’

এই চিনেরই ওবর যোগাযোগ প্রকল্প নিয়ে সরব হয়েছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিভাগের সচিব অ্যালিস ওয়েলস। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত গোড়া থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে এই ওবর প্রকল্পের পিছনে ভূকৌশলগত অভিসন্ধি রয়েছে। আমরা ভারতের সঙ্গে একমত যে এই প্রকল্প অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের উপর চাপ তৈরি করতে পারে। এর অর্থনৈতিক ভিতটিও স্পষ্ট নয় আমাদের কাছে।’’

আরও পড়ুন: লন্ডনের ব্রিজ ঘাতকের বড় হওয়া পাকিস্তানে, তদন্তের মাথায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এই ভারত-প্রেম অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে নিজেদের পক্ষে সুবিধেজনক শর্তে বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় ওয়াশিংটন। পাশাপাশি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা চিনকে কিছুটা চাপে রাখতে ভারতের মতো একটি দেশের সঙ্গে কৌশলগত অক্ষ শক্তিশালী করার দায়ও রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE