Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ইরাকে বদল নিয়ে মালিকিকে চাপ কেরির

গোটা পশ্চিম সীমান্তের পাশাপাশি উত্তর ইরাকের তেল-আফার শহরও হাতছাড়া হল ইরাকি সেনার। শুধু ইরাক ও সিরিয়া নয়, এখন আইএসআইএস দাঁড়িয়ে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র জর্ডনের সীমান্তেও। এই পরিস্থিতিতে বাগদাদে নয়া সরকার গঠনে চাপ বাড়াল আমেরিকা। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গত কালই সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের দু’টি আউটপোস্টের পাশাপাশি জর্ডন সীমান্তের তুরাইবিলও দখল করে নেয় আইএসআইএস। আজ উত্তর ইরাকের তেল-আফার শহর ও বিমানবন্দরও দল করেছে তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৪:১৬
Share: Save:

গোটা পশ্চিম সীমান্তের পাশাপাশি উত্তর ইরাকের তেল-আফার শহরও হাতছাড়া হল ইরাকি সেনার। শুধু ইরাক ও সিরিয়া নয়, এখন আইএসআইএস দাঁড়িয়ে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র জর্ডনের সীমান্তেও। এই পরিস্থিতিতে বাগদাদে নয়া সরকার গঠনে চাপ বাড়াল আমেরিকা।

সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গত কালই সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের দু’টি আউটপোস্টের পাশাপাশি জর্ডন সীমান্তের তুরাইবিলও দখল করে নেয় আইএসআইএস। আজ উত্তর ইরাকের তেল-আফার শহর ও বিমানবন্দরও দল করেছে তারা। বেশ কিছু দিন ধরে ওই শহরে ইরাকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছিল জঙ্গিদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ তেল-আফার ছেড়ে পালিয়েছে সেনাবাহিনী। শহর এখন আইএসআইএসের দখলে।

এই পরিস্থিতিতে আজ ইরাকে প্রধানমন্ত্রী নুরি অল-মালিকির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, বাগদাদে নয়া সরকার গঠনের উপরে জোর দিয়েছেন কেরি। ইরাক-সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে আল-কায়দাপন্থী জঙ্গিদের দখলদারি আমেরিকার পক্ষে অস্বস্তিকর ঠিকই। কিন্তু মালিকির নীতির জন্যই সুন্নি সম্প্রদায়ের বিরাট অংশ আইএসআইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে মনে করে আমেরিকা। তাই শিয়াপ্রধান মালিকি সরকারের বদলে অন্য একটি সরকার গঠনে উদ্যোগী হয়েছে তারা।

ইরাকে যাওয়ার আগে পশ্চিম এশিয়ার নতুন সঙ্কট নিয়ে মিশর ও জর্ডনের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন কেরি। কূটনীতিকদের মতে, আইএসআইএস জঙ্গিরা জর্ডনের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়ায় আরও উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন। কারণ, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র জর্ডন। সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে মার্কিন সেনার সম্পর্কও নিবিড়। জর্ডন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরাক সীমান্তে তাদের কম্যান্ডারদের সতর্ক করা হয়েছে। কিছু এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।

মসুলে অপহৃত ৩৯ জন শ্রমিক-সহ ইরাকে আটকে পড়া ভারতীয়রা সকলেই অক্ষত আছেন বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, লড়াইয়ের এলাকায় এখন ১০৩ জন ভারতীয় আটকে রয়েছেন। ইরাকের অন্যান্য অংশে ১২টি সংস্থায় কাজ করছেন আড়াই হাজার ভারতীয়। অনেক ভারতীয়ের পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট সংস্থা আটকে রাখায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি কিছু সংগঠনের। মন্ত্রক জানিয়েছে, ইরাকের নিয়ম অনুযায়ী সে দেশে কাজ করতে গেলে পাসপোর্ট জমা রেখে একটি স্থানীয় পরিচয়পত্র নিতে হয়। সে কারণেই ভারতীয়দের পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কাছে রয়েছে। যাঁরা ফিরতে চান তাঁদের সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে বিদেশ মন্ত্রক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE