Advertisement
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Drinks with Blood

পানীয়ের সঙ্গে নিজের রক্ত মিশিয়ে বছরের পর বছর গ্রাহকদের পরিবেশন করেছেন ‘ভ্যাম্পায়ার ওয়েটার’!

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই রেস্তরাঁয় মূক এবং বধিরদের কাজে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, স্মৃতিশক্তি কম এমন মহিলাদেরও কাজে রাখা হয়।

drinks with blood

রক্ত মিশিয়ে গ্রাহকদের পানীয় পরিবেশন। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
টোকিয়ো শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩৬
Share: Save:

রেস্তরাঁয় খাবার খেতে গিয়েছেন। নরম পানীয় অর্ডার করেছেন। সেই পানীয় এল। সেটি পানও করলেন। স্বাভাবিকই লাগল। অন্য সময় যেমন স্বাদ, ঠিক তেমনই স্বাদ পেলেন। পরে কোনও এক দিন জানতে পারলেন, যে পানীয় ওই রেস্তরাঁ থেকে খেয়ে এসেছিলেন, তাতে মানুষের রক্ত মেশানো ছিল। তখন?

এত ক্ষণ যা পড়লেন, তাতে মনে হতে পারে, এমনটা কখনও হয় নাকি? পানীয়ের সঙ্গে রক্ত, তা-ও আবার মানুষের, এ তো কল্পনাতীত! তবে গাঁজাখুরি মনে হলেও, বাস্তবে এমন ঘটনাই ঘটেছে। তবে ভারতের কোনও প্রান্তে নয়, এ দেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাষ্ট্রদ্বীপ জাপানে।

সে দেশে এমনই একটি রেস্তরাঁ আছে যেখানে এক মহিলা ওয়েটার দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাহকদের মদ এবং নরম পানীয় পরিবেশন করতেন তার মধ্যে নিজের রক্ত মিশিয়ে। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ জানার পর ওই কর্মীকে কাজ থেকে ছাঁটাইও করে দিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই রেস্তরাঁয় মূক এবং বধিরদের কাজে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, স্মৃতিশক্তি কম এমন মহিলাদেরও কাজে রাখা হয়। রেস্তরাঁটি ভৌতিক থিমের উপর গড়ে তোলা হয়েছে। কর্মীদের পোশাক-আশাকও সে রকম। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভৌতিক পরিবেশ, পোশাক-আশাকের প্রভাব পড়েছিল ওই ওয়েটারের উপর। তিনি নিজেকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ (রক্তচোষা বাদুড়) ভাবতে শুরু করেছিলেন। আর তার প্রভাবেই গ্রাহকদের পানীয়ে নিজের রক্ত মিশিয়ে পরিবেশন করছিলেন। হোটেলের ওই কর্মীও তেমনটাই দাবি করেছেন। যদিও তাঁর দাবি কতটা সত্য, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য কোনও অভিসন্ধি ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE