মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’কে পেটাচ্ছেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প! রবিবার এমন এক ভিডিও টুইট করে ফের বিতর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কী দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে?
কয়েক সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রেসলিং রিংয়ের পাশে এক ব্যক্তিকে ট্রাম্প ইচ্ছেমতো কিল–ঘুষি মারছেন। যে ব্যক্তির উপর তিনি চড়াও হয়েছেন, তার মাথাটা সিএনএনের লোগো।
আদতে ছবিটা দশ বছর পুরনো। ২০০৭ সালের ২ জুলাই ডব্লিউডব্লিউই রেসলিংয়ের একটি ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। সে দিন তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক ভিন্স ম্যাকমোহনের উপর চড়াও হয়েছিলেন। যদিও সে দিন ট্রাম্প যে আক্রমণ করছেন, তার পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত। সেখানে দেখা যায়, ম্যাকমোহনকে কিল-ঘুষি মারছেন ট্রাম্প। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন বেশ পরিচিত। গতকাল সেই ভিডিওটাতেই সামান্য এডিট করে টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যাতে ম্যাকমোহনের মুখ সিএনএনের লোগো দিয়ে ঢেকে দেওয়া দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প সিএনএনকেই যেন পেটাচ্ছেন।
' È À
QUEST'UOMO È GENIALITÀ ALLO STATO PURO #DonaldTrump https://t.co/Q2eKPqV4jX
— Piovono Rane (@FiloRicci) July 3, 2017
ভিডিওটি প্রকাশিত হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। সিএনএন অভিযোগ করেছে, সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে হিংস্রতাকে উসকে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। নিউইয়র্ক টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক ডিন বাকুয়েট তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সাংবাদিকের নিয়ে প্রেসিডেন্টের এমন কার্যকলাপ অত্যন্ত নিন্দনীয়। ডেমোক্র্যাটরাও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। প্রাক্তন স্পিকার এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, সংবাদমাধ্যমকে এ ভাবে ‘আক্রমণ করা’ মোটেই প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কাম্য নয়।
বিতর্ক কিছুটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্টের এই টুইটকে হুমকি হিসাবে না দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উপদেষ্টা থমাস বোসার্ট। তবে এত কিছুর পরও ট্রাম্পের সমর্থকরা দমবার পাত্র নন। তাঁরা সিএনএন-কে ধরাশায়ী করা টুইট বার্তা ও ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন। এটিকে এ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বেশি শেয়ার হওয়া টুইট বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মৃতপ্রায় শিশুদের কোলে তুলে নেন মহম্মদ
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক মোটেই সুমধুর নয়। এর আগে বেশ কয়েকবার প্রেসিডেন্টের নিশানায় পড়তে হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যম ‘ফেক নিউজ’ করে বলেও অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। সেই বিতর্কের তালিকায় এ বার নয়া সংযোজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy