ইউটিউব থেকে নেওয়া ছবি।
হাঙরের হাত থেকে এভাবে কাউকে কোনও ড্রোন বাঁচিয়ে দিতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে এক সার্ফার সমুদ্রে সাঁতার কাটছিলেন। হাঙরের কবল থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে দিল একটি ড্রোন।
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রের ধারে বৃহস্পতিবার ড্রোন ওড়াচ্ছিলেন ক্রিস্টোফার জয়েস। চেষ্টা করছিলেন হাঙ্গরের কিছু ছবি, ভিডিয়ো তোলার। সেই মতো তাঁর ড্রোনের ক্যামেরায় ধরাও পড়ে যায় একটি হাঙ্গর। কিন্তুতিনি লক্ষ্য করেন, হাঙ্গরটি কোনও একটি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই ‘লক্ষ্য বস্তু’হল এক সাঁতারু। যিনি ওই সময় তাঁর সার্ফ বোর্ড নিয়ে শান্ত জলে ভাসছিলেন। আর হাঙ্গরটি এগিয়ে যাচ্ছিল তাঁরই দিকে।
সৈকত থেকে ড্রোনে গোটা বিষয়টি দেখতে পান ক্রিস্টোফার। বুদ্ধি করে তিনি ড্রোনে লাগানো লাউড স্পিকারে ‘হাঙর-হাঙর, দ্রুত জল থেকে বেরিয়ে আসুন’ বলে চিত্কার করতে থাকেন। চুপি চুপি তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে থাকা হাঙরটিকে প্রথমে দেখতে পাননি সাঁতারু। সেই সতর্কবার্তা তাঁর কানে যেতেই বুঝতে পারেন, বিপদ এগিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন : প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেশীয় প্রযুক্তির তেজসে উড়লেন রাজনাথ
বিপদ বুঝেই তিনি সাঁতরে পাড়ের দিকে যেতে শুরু করেন। একে লাউড স্পিকারের আওয়াজ, তার উপর হঠাত্ সাঁতারুর দিক বদল করে দ্রুত সাঁতার কাটতে শুরু করা, দুইয়ে মিলে হাঙরটি আর তার দিকে এগোতে সাহস করেনি। হাঙরটি দিক বদল করে সমু্দ্রের গভীরেপালিয়ে যায়। সাঁতারুও দ্রুত পাড়ে উঠে আসেন। প্রাণে বেঁচে যান।
আরও পড়ুন : সিন্ধুকে বিয়ে করব, না পেলে অপহরণ, জেলাশাসকের অফিসে বাহাত্তুরে আবেদন
ক্রিস্টোফারের দাবি হাঙরটি সাড়ে নয় থেকে ১৩ ফুটের মতো লম্বা। তিনি বলেন তাঁর ড্রোনে আগেও হাঙরের ছবি ধরা পড়েছে। কিন্তু ড্রোনের স্পিকার সিস্টেম ব্যবহার করে কাউকে হাঙরের মুখ থেকে বাঁচালেনএই প্রথম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy