গরু, হরিণের মতো খুরওয়ালা প্রাণীরা জমে যাওয়া বরফের উপর দিয়ে হাঁটতে পারে না, পিছলে যায় তাদের পা। ফলেএই তিনটি হরিণও হ্রদের বরফের উপর বহু চেষ্টা করেও এগোতে পারেনি। একই জায়গায় বসে ছিল। হরিণগুলি সেখানে পৌঁছল কী ভাবে তা জানা যায়নি।
রেয়ান হ্রদের কাছে এসে হরিণগুলিকে দেখে, বুঝতে পারেন পরিস্থিতিটা। হরিণগুলিকে উদ্ধার করে আনাও সহজ ছিল না। রেয়ান যেটা করেন, তাঁর সঙ্গে থাকাট্রেকিংয়ের একটি দড়ি নিয়ে হরিণগুলির কাছে পৌঁছে যান। প্রথমে একটি হরিণের গলায় দড়িটি কোনও ভাবে পরিয়ে দেন। তারপর স্কেটিং করতে করতে হরিণটিকে বরফের উপর দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে নিয়ে আসেন। হ্রদের ধারে এসে সেটিকে ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন: অফিসে ‘ফাঁকি’ দিতে টয়লেটে ঝিমুনির দিন শেষ, আসছে এই নতুন কমোড
ফের ফিরে যান বাকি দু’টিহরিণের কাছে। এবার আলাদা আলাদা না করে, দু’টি হরিণকে একই দড়িতে বেঁধে টেনে নিয়ে চলে আসেন অন্যটির কাছে। আগের হরিণটি তখনও সেখানেই বসে ছিল। কারণ তার চারটি পা তখনও হ্রদের জমে যাওয়া বরফের উপরেই ছিল। ফলে সে কিছুতেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না।
এবার রেয়ান একটি গাছের ডাল দিয়ে তাদের ঠেলতে থাকেন। হরিণগুলিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন। পিছনে একটা সাপোর্ট পেয়ে হরিণগুলি কোনও রকমে হ্রদের বাইরে বেরিয়ে আসে।
হরিণ উদ্ধারের এই গোটা অভিযানের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন রেয়ান। পরে এডিট করে মোট এক মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি ইউটিউবে স্টোরিফুল রাইটস ম্যানেজমেন্টের চ্যানেলে আপলোড হয়। ১৩ ডিসেম্বর পোস্ট হওয়া ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ৮৮ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে।
দেখুন সেই ভিডিয়ো: