রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি অনুষ্ঠানের মাঝপথ থেকেই বেরিয়ে গেলেন পুতিন। জানালেন, অপেক্ষা করতে হলে রেগে যেতে পারেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার মস্কোয় একটি আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন পুতিন। সেখানে হঠাৎই বক্তৃতা থামিয়ে দেন তিনি। তার পরেই উপস্থিত দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, “দয়া করে রেগে যাবেন না। বুঝতে পারছি আমি আরও একটু বলতে পারতাম। কিন্তু (ট্রাম্পকে) অপেক্ষা করানো বাজে বিষয় হবে। তিনি রেগে যেতে পারেন।’’
ট্রাম্প এবং পুতিনের ফোন-কথোপকথনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিম এশিয়া এবং ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দু’পক্ষই। পুতিনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে বলেন, ‘‘ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি ইরান পরিস্থিতি নিয়েও ফোনে আলোচনা হয়েছে।’’ তবে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় পুতিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ইউক্রেনে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটবে না রাশিয়া।
পুতিনের বিদেশ উপদেষ্টা আলোচনার নির্যাস জানিয়ে বলেন, ‘‘ট্রাম্পকে আমাদের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার কারণ ছিল, ইউক্রেনের নেটোতে যোগ দেওয়ার উদ্যোগ এবং ইউক্রেনে বসবাসকারী রুশ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা। ইউক্রেনের কার্যকলাপ এখনও রাশিয়ার সুরক্ষার ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি করছে।’’ ট্রাম্প নিজেও জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় পরিস্থিতির কোনও অগ্রগতি হয়নি। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের অবস্থানে তিনি হতাশ বলেও জানান ট্রাম্প।
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে পুতিনের ছ’বার সরাসরি কথা হয়েছে। তার মধ্যে চার বার কথা হয়েছে গত ছ’সপ্তাহের মধ্যে।