বেলারুসে পরমাণু অস্ত্রভান্ডার গড়ার কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া। অনড় পুতিন অবশ্য বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে সেনাকে ওই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া। ১ জুলাইয়ের মধ্যেই বেলারুসের মাটিতে নতুন পরমাণু অস্ত্রাগার তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
পুতিনের এই সিদ্ধান্তে পরমাণু যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা করছেন অনেকে। রুশ প্রেসিডেন্ট অবশ্য জানিয়েছেন, বেলারুসের মাটিতে পরমাণু অস্ত্র মজুত করা হলেও তার নিয়ন্ত্রণ থাকবে মস্কোর হাতেই। তাঁর দাবি, এর ফলে কোনও ভাবেই তা ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু অস্ত্র সংবরণ’ নীতি লঙ্ঘন করবে না। নেটোর সদস্য দেশ আমেরিকা এত দিন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘাঁটি গড়ে পরমাণু অস্ত্র মজুত করেছে। বেলারুসে পরমাণু অস্ত্রভান্ডার গড়ার এই সিদ্ধান্তের পিছনে সেই যুক্তিকেই খাড়া করেছেন পুতিন। তবে পুতিনের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইউরোপ থেকে নিজেদের অস্ত্র ভান্ডার কোনও ভাবে সরানো হবে না বলেই জানিয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর। তারা বলেছে, “আমরা নেটোর সদস্য। নেটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গেই যুক্ত থাকব।” বেলারুসের সীমান্ত বরাবর ইউক্রেন ছাড়াও রয়েছে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়ার মতো নেটোভুক্ত দেশগুলি। ফলে পুতিনের এই সিদ্ধান্ত শুধু ইউক্রেন নয়, নেটোভুক্ত দেশ-সহ গোটা ইউরোপের পক্ষেও উদ্বেগের বলে মনে করা হচ্ছে।
নব্বইয়ের দশকের পরে এই প্রথম দেশের বাইরে পরমাণু অস্ত্রের ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে রাশিয়া। ১৯৯১ সালে সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয় রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুস-সহ বহু দেশ। ১৯৯৬ সালের মধ্যে অন্য দেশ থেকে সেনা ও সমরাস্ত্রের ঘাঁটি পুরোপুরি নিজেদের সীমানায় সরিয়ে আনেমস্কো।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)