বন্ধুই ছিলেন। তাই বন্ধুর মতোই বার্তা দিলেন।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার বাড়াবাড়ি নিয়ে যখন গোটা বিশ্বের উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই হুঁশিয়ারি এল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্কটে আমেরিকা এবং তার সমর্থক দেশগুলির ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেছেন, পুরো বিষয়টি এমন একটা জায়গায় পৌঁছচ্ছে যে কোনও পথই খোলা থাকবে না। কথা বলে সমাধানের রাস্তা বার করাই শ্রেয়।
চিনের শিয়ামেনে ব্রিকস সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ক্রেমলিনের তরফে একটি লেখায় এমন বার্তাই এসেছে পুতিনের কাছ থেকে। তাঁর কথায়, ‘‘পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প বন্ধ করতে পিয়ংইয়ংয়ের উপরে চাপ তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। ওই অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কোনও পূর্বনির্ধারিত শর্ত ছাড়া সরাসরি আলোচনা শুরু করতে হবে। প্ররোচনা, একে অন্যকে অপমান করা, চাপ তৈরি করা এবং জঙ্গিপনা দেখিয়ে সঙ্কট মেটানোর সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’’
জাপানের উপর দিয়ে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দু’দিন পরেই কোরীয় উপদ্বীপে আমেরিকা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে ফের শক্তি প্রদর্শন করে। দু’টি মার্কিন যুদ্ধবিমান থেকে বোমা-হামলার মহড়া দেয় তারা। যা থেকে ফের চটে যায় কিমের দেশ। কিছু দিন আগে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগ্যুদ্ধও তীব্র হয়ে ওঠে। পারস্পরিক শক্তি প্রদর্শনও চলতে থাকে তাল মিলিয়ে।
কিমের দেশের প্রতি পুতিনের ‘প্রচ্ছন্ন’ সমর্থন বরাবরই রয়েছে। আর তাই ফের আমেরিকাকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, পিয়ংইয়ংকে বেশি না ঘাঁটানোই ভাল। আলোচনাই একমাত্র পথ। পুতিনের কথায়, ‘‘ভয়ঙ্কর
দ্বন্দ্বের মুখে কোনও মতে ভারসাম্য বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছে কোরীয় উপদ্বীপ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy