Advertisement
E-Paper

ম্যারিয়ট হোটেলেও পোশাক বদলানোর ছবি তুলে ইন্টারনেটে!!

স্নান করে পোশাক বদলাচ্ছিলেন নামী আন্তর্জাতিক স্পোর্টস চ্যানেলের মহিলা সাংবাদিক এরিন অ্যান্ড্রুজ। ম্যারিয়ট হোটেলের ঘরে পোশাক বদলানোর সময় তাঁর নগ্ন হওয়ার দৃশ্য রেকর্ড হয়ে গেল ক্যামেরায়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ল হু হু করে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ১৭:০৮

স্নান করে পোশাক বদলাচ্ছিলেন নামী আন্তর্জাতিক স্পোর্টস চ্যানেলের মহিলা সাংবাদিক এরিন অ্যান্ড্রুজ। ম্যারিয়ট হোটেলের ঘরে পোশাক বদলানোর সময় তাঁর নগ্ন হওয়ার দৃশ্য রেকর্ড হয়ে গেল ক্যামেরায়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ল হু হু করে। জনপ্রিয় স্পোর্টসকাস্টার এরিন অ্যান্ড্রুজের মাথায় হাত! ম্যারিয়টের মতো হোটেলের ঘরেও এত অরক্ষিত ব্যক্তিগত মুহূর্ত! সাড়ে সাত কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ম্যারিয়টের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এরিন অ্যান্ড্রুজ। কিন্তু তাঁর নগ্ন হওয়ার ভিডিও বছরের পর বছর ধরে রোজ তাঁর অপমানের কারণ হয়ে উঠছে।

এরিন অ্যান্ড্রুজের নগ্ন ভিডিও শ্যুট হওয়ার ঘটনা খুব সাম্প্রতিক নয়। ২০০৮ সালে আমেরিকার টেনেসি প্রদেশের ন্যাশভিলে ম্যারিয়ট হোটেলে এই ঘটনা ঘটেছিল। তার এক বছর পর নগ্ন ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছাড়া হয়। মোবাইল ক্যামেরায় এরিন অ্যান্ড্রুজের পোশাক বদলানোর ছবি যে তুলেছিল, তার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে জেলেও যেতে হয়েছে। কিন্তু ম্যারিয়ট হোটেল কর্তৃপক্ষও দায় এড়াতে পারে না বলে এরিন অ্যান্ড্রুজের দাবি। তাই ওই বহুজাতিক হোটেল চেইনের বিরুদ্ধেও তিনি মামলা করেন বিপুল ক্ষতিপূরণ চেয়ে। টেনেসি’র আদালতে সেই মামলা এখনও চলছে। সোমবার শুনানি ছিল। উইটনেস বক্সে দাঁড়িয়ে এরিন অ্যান্ড্রুজ কান্নায় ভেঙে পড়েন সে দিন। তার পরই নগ্ন ভিডিওর বিষয়টি নিয়ে আবার হইচই শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:

পর্নস্টারের সঙ্গে এক মাস কাটানোর পুরস্কার জিতল এক কিশোর!

এরিন বলেছেন, ‘‘আমি সেই পাশের বাড়ির মেয়েটা হতে চেয়েছিলাম, যে খেলা ভালবাসে। কিন্তু এখন আমি একটা মেয়ে যে হোটেল কেলেঙ্কারিতে জড়িত।’’ তিনি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হলেও এখনও তার অভিশাপ বহন করতে হচ্ছে তাঁকে। এরিনের অভিযোগ, এখনও রোজ কেউ না কেউ নতুন করে ওই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন, কেউ ভিডিও থেকে স্টিল নিয়ে তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে পাঠিয়ে দেন, কেউ তাঁকে দেখে ফিসফাস করেন। যে সময় ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল, কর্মক্ষেত্রে তখন তাঁকে কী ধরনের হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, আদালতকে সে কথাও জানিয়েছেন এরিন। অন্য স্পোর্টস রিপোর্টাররা তাঁকে কীভাবে একঘরে করেছিলেন, কীভাবে তাঁর সম্পর্কে নোংরা মন্তব্য করা হচ্ছিল, নগ্ন ভিডিও প্রকাশ হওয়াকে আসলে তাঁরই প্রচার পাওয়ার কৌশল বলে অনেকে কীভাবে অভিযোগের আঙুল তুলছিলেন, তা আদালতকে জানিয়েছেন এরিন। এরিনের নিজের চ্যানলেও তাঁকে বাধ্য করে একটি ইন্টারভিউতে বসতে, যেখানে নানা অস্বস্তিকর প্রশ্নের জবাব দিয়ে তাঁকে প্রমাণ করতে হয়েছিল, ওই নগ্ন ভিডিও প্রকাশ তাঁর নিজের প্রচার পাওয়ার কৌশল নয়। টেনেসির সংবাদমাধ্যম এরিন অ্যান্ড্রুজের এই বক্তব্য সামনে এনেছে।

মাইকেল ডেভিড ব্যারেট নামে এক ব্যক্তি নিজের মোবাইল ক্যামেরায় এরিনের নগ্ন ভিডিও রেকর্ড করেছিল। ব্যারেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং সে ইতিমধ্যেই আড়াই বছর জেল খেটে ফেলেছে। তার বক্তব্য টেনেসির আদালতে সোমবার পেশ করা হয়েছিল। সে জানিয়েছে, এরিন জনপ্রিয় ছিলেন এবং ইন্টারনেটে তিনি রীতিমতো চর্চার বিষয় ছিলেন বলে তাঁর নগ্ন ভিডিও শ্যুট করেছিল সে। ইলিনয়ের বাসিন্দা ব্যারেট আদালতকে জানিয়েছে, সেই সময় সে আর্থিক সঙ্কটে ছিল। এরিন অ্যান্ড্রুজের নগ্ন ভিডিও তুলতে পারলে তা চড়া দামে বিক্রি করা যাবে বলে তার মনে হয়েছিল। তাই সে বেশ কয়েকমাস ধরে এরিনকে ফলো করা শুরু করে। যে হোটেলে সে উঠত, সেখানেই ফোন করে ব্যারেট জানতে চাইত, এরিন কোন ঘরে রয়েছে। ন্যাশভিলের ম্যারিয়ট হোটেলে ফোন করেও ব্যারেট জানতে চায়, কোন ঘরে এরিন রয়েছেন। তার ঠিক পাশের ঘরটা ব্যারেট ভাড়া নেয়। তার পর এরিনের ঘরের দরজার পিপ হোলে সে গর্ত করে দেয়। সেখানে মোবাইল ক্যামেরা লাগিয়ে ব্যারেট এরিনের পোশাক বদলানোর দৃশ্য রেকর্ড করে।

Erin Andrews Marriott Hotel Nude Video Compensation MostReadStories
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy