ফুলদানিরূপী বোমাটিকে নিয়ে ক্যাথরিন। ছবি: টুইটার।
মরচে পড়ে গেছে। কিন্তু পুরনো ফুলদানিটিকে কখনও বাতিল করেননি ব্রিটেনের ক্যাথরিন রাওলিন্স। এক দু’দিন নয়, টানা তিন দশক ধরে এটি তাঁর খুবই প্রিয় ফুলদানি। কিন্তু সেই প্রিয় ফুলদানিই যে এরকম বিড়ম্বনায় ফেলবে, ভাবতেই পারেননি ক্যাথরিন। আচমকাই যখন আসল রহস্য ভেদ হল, তখন মূর্ছা যাওয়ার জোগাড়।
কারণ, তাঁর প্রিয় ফুলদানিটি আর কিছুই নয়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বোমা। বোমাটি ফাটেনি। খোলের ভিতরে বিস্ফোরকের মাল মশলা সবই মজুত। বোমার উপরের অংশটি কিছুটা খুলে তার মাথায় প্লাস্টিকের গোলাপও গুঁজে রাখতেন ক্যাথরিন। এমন কি কখনও কখনও বিভিন্ন স্কুল-কলেজেও ফুলদানিটিকে নিয়ে যেতেন দুই সন্তানের মা ক্যাথরিন। পেশায় যে তিনি এক জন কেরিয়ার অ্যাডভাইসর।
কিন্তু কী করে টনক নড়ল ক্যাথরিনের?
বাড়িতে বসে এক দিন টিভি দেখছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উপর তথ্যচিত্র। জার্মান বোমারু বিমান থেকে ব্রিটেনের কভেন্ট্রি অঞ্চলে বোমা ফেলার ছবি দেখাচ্ছিল। বোমাগুলির চেহারা দেখে তো হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার জোগাড়। তবে কি তিনি নিজে একটা আস্ত বোমার পাশে বসে আছেন? ঘরে থাকা ফুলদানিটি দেখতে যে অবিকল ওই বোমাগুলির মতো! সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন ক্যাথরিনের স্বামী ক্রিস। পুলিশ এসে ফুলদানিটি নিয়ে যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, হ্যাঁ, ওটি বোমাই। ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, বোমাটি ফাটলে ক্যাথরিনের বাড়িই শুধু উড়ে যেত না, বিশ মিটারের মধ্যে যা কিছু যা আছে তাও ধ্বংস হয়ে যেত বিস্ফোরণে।
তবে প্রিয় ফুলদানিকে হারাতে হয়নি ক্যাথরিনকে। বিস্ফোরকগুলি বার করে নিয়ে ক্যাথরিনের হাতে বোমার খোলটিকে দিয়ে দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy