১৯২৬, ১৩ অগস্ট: কিউবার বিরান শহরে ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম। তাঁর জমিদার বাবা আদতে স্পেনের মানুষ। মা কিউবার। সাত সন্তানের মধ্যে তৃতীয় কাস্ত্রো। স্কুল জীবন কাটে সান্তিয়াগোয়। হাভানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি। সেখানেই রাজনীতি ও মার্কসবাদে হাতেখড়ি।
১৯৫৩, ২৬ জুলাই: আমেরিকার মদতপুষ্ট কিউবার স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক ফুলহেনসিয়ো বাতিস্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা। সান্তিয়াগোর এক সেনা ছাউনি আক্রমণ। বিদ্রোহ ব্যর্থ। কাস্ত্রো গ্রেফতার।
১৯৫৬, ২ ডিসেম্বর: মেক্সিকোয় বন্ধু চে গেভারা ও ভাই রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে বিপ্লবী দল গঠন। মাত্র ৮১ জন বিপ্লবীকে নিয়ে জলপথে কিউবা পাড়ি কাস্ত্রোর। দক্ষিণ কিউবার সিয়েরা মেস্ত্রা পাহাড়ের উপর ঘাঁটি গেড়ে টানা ২ বছর ধরে সেনা প্রশিক্ষণ।
১৯৫৯, ১ জানুয়ারি: গেরিলা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে শাসক বাতিস্তার দেশ ত্যাগ। ফেব্রুয়ারিতে কিউবার প্রধানমন্ত্রী কাস্ত্রো।
১৯৬২: কিউবার সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আমেরিকার।
১৯৬৫: কিউবায় কমিউনিস্ট পার্টির গোড়াপত্তন করলেন কাস্ত্রো। একদলীয় সমাজতান্ত্রিক দেশে পরিণত হল কিউবা।
১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন কাস্ত্রো।
১৯৯৮: পোপ দ্বিতীয় জন পলের ঐতিহাসিক কিউবা সফর।
২০০৬, ৩১ জুলাই: অসুস্থতার কারণে সাময়িক ভাবে ভাই ও দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতার হস্তান্তর।
২০০৮: কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো।
২০১১, ২২ মার্চ: সমস্ত সরকারি পদ থেকে ইস্তফা কাস্ত্রোর। পরের কয়েক বছর শুধুই লেখনীতে আত্মপ্রকাশ।
২০১৪, ১৭ ডিসেম্বর: রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের পর কিউবার উপর থেকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার পর থেকেই লোক চক্ষুর অন্তরালে কাস্ত্রো।
২০১৬, ২৬ নভেম্বর: ৯০ বছর বয়সে জীবনাবসান।
আরও খবর...
সিঁড়ি ভাঙতে স্বপ্ন ‘মেক ইন আমেরিকা’-ই
‘তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম!’ ফিদেলকে লিখেছিলেন চে
সাম্রাজ্যবাদী হিংসার বিরুদ্ধে নীল আকাশের নাম
৬৩৪ বার খুন করার চেষ্টা হয়েছে ফিদেলকে?
আমেরিকার নাকের ডগায় ছোট্ট দ্বীপের স্পর্ধার নাম ফিদেল কাস্ত্রো
‘বিয়ার হাগ’ দিয়ে ইন্দিরাকে চমকে দিয়েছিলেন কাস্ত্রো
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি ফিদেলের ছিল গভীর শ্রদ্ধা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy