মাসখানেক ধরে চলতে থাকা এমএইচ ৩৭০-র তল্লাশি অভিযান এ বার হয়তো সাফল্যের আলো দেখতে পারে। অন্তত তেমনই ধারণা অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান অ্যাঙ্গাস হিউস্টনের। সোমবার তিনি জানান, মার্কিন ‘ব্ল্যাক বক্স লোকেটর’ প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ট্রেলীয় জাহাজ ‘ওশেন শিল্ড’ ভারত মহাসাগরের একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে দু’দুবার শব্দসঙ্কেতের হদিস পেয়েছে। যেগুলিকে এখনও পর্যন্ত পাওয়া সূত্রগুলির মধ্যে ‘সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করেন অ্যাঙ্গাস।
তিনি আরও জানান, রবিবার পারথ থেকে প্রায় ১০৫০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে এক এলাকা থেকে শব্দসঙ্কেতগুলির সন্ধান পায় ওশেন শিল্ড। প্রথম শব্দসঙ্কেতটি প্রায় দু’ঘণ্টা স্থায়ী হয়। তার কিছু ক্ষণ পর দ্বিতীয় সঙ্কেত ধরা পড়ে। যার স্থায়িত্ব ছিল ১৩ মিনিট। তবে এ বার এক সঙ্গে দু’ধরনের শব্দসঙ্কেত ধরা পড়েছিল। যা কি না বিশেষজ্ঞদের আশা বাড়াচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (দু’টি মিলিয়েই ব্ল্যাক বক্স) নামের যন্ত্রদু’টি থেকে দু’ধরনের শব্দসঙ্কেত নির্গত হয়। অর্থাৎ, ওশেন শিল্ড যে দু’ধরনের শব্দসঙ্কেত পেয়েছিল, তা হয়তো আসলে ওই দুই যন্ত্র থেকেই নির্গত।
ওশেন শিল্ডের এই ‘আবিষ্কার’-এর পর মালয়েশিয়ার পরিবহণমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেন বলেন, “আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সম্ভবত ইতিবাচক কিছু জানা যাবে।” আগামিকাল ফের ওই এলাকায় তল্লাশি চালাবে জাহাজটি। তার পর নিশ্চিত হলে সমুদ্রের গভীরে নামবে স্বয়ংক্রিয় যান ‘ব্লুফিন-২১’। চালাবে ধ্বংসস্তূপ শনাক্ত করার কাজ। তার পর শুরু হবে বিমানের ধ্বংসাবশেষের উদ্ধারকাজ। কিন্তু তা যে সময়সাপেক্ষ, সে কথাও জানান অ্যাঙ্গাস। তাঁর বক্তব্য, এ মুহূর্তেই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত নয়। তবে এ ছাড়া, ভারত মহাসাগরের অন্য এক অংশেও তল্লাশি চলছে। সেখান থেকেই শুক্র ও শনিবার দু’টি সঙ্কেত পায় চিনা জাহাজ হেক্সিয়ান ০১।
মাত্র আট মাস বয়সে ৩০ ঘণ্টা বিমান-সফরের ঝক্কি। অথচ বাবা-মাকে একটুও বিরক্ত করেনি খুদে জর্জ।
প্রথম বার বিদেশে এসে মা কেটের কোলে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল তাকে।
সোমবার ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে পৌঁছল রাজপুত্র জর্জ। ছবি: এএফপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy