নিষেধাজ্ঞার হুমকি ছিলই। গত কাল রাতে দ্য হেগ শহরে পরমাণু নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকা জি-৭ ভুক্ত দেশগুলি রাশিয়ার উপরে চাপ তৈরি করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জুনে সোচিতে জি-৮ সম্মেলনে তারা কেউই অংশ নেবে না। পরিবর্তে রাশিয়াকে বয়কট করে ব্রাসেলসে বৈঠক হবে শুধু জি-৭ দেশগুলির।
দ্য হেগ শীর্ষ সম্মেলনেই ইউক্রেন এবং ক্রাইমিয়া পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের। তার পরে জি৭ ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রাশিয়া সিদ্ধান্ত না বদলালে আমরা জি৮-এ অংশগ্রহণ করব না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে জি৮-এর প্রশ্নই নেই। তাই এ বছর জুনেই জি৭ দেশ বৈঠক করবে।’ জি৭-এর বিদেশমন্ত্রীদেরও এপ্রিলে মস্কোয় বৈঠকে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই জি৭-ভুক্ত দেশগুলির এই সিদ্ধান্ত ভাল চোখে দেখছে না। পুতিন প্রশাসনের হুঁশিয়ারি, বাকিদের এর ফল ভুগতে হবে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ সংবাদ সংস্থাকে জানান, জি৮ সম্মেলন হলে আমরা পাশে আছি। কিন্তু অন্য দেশগুলিই যদি সেটা না চায়, তার ফল ভুগতে হবেই।” আর রুশ বিদেশমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, জি৮ থেকে রাশিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হলে তাতে বিরাট কোনও বিপর্যয় ঘটবে না।
এর মধ্যেই ইউক্রেনের আইনপ্রণেতারা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ থেকে ইউক্রেনীয় সেনা ক্রমশ তুলে নিচ্ছে সরকার। কারণ এখন সেখানে রুশ সেনারই আধিপত্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইউক্রেনীয় সেনাদের কিছু করার নেই, তাদের পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়ারও প্রয়োজন নেই, তাই তিনি পদত্যাগ করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy