হাসপাতালে আহত জাফর আহির।
ফের সাংবাদিক আক্রান্ত পাকিস্তানে। প্রকাশ্য রাস্তায় সশস্ত্র অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা গত কাল হঠাৎই চড়াও হয় পাক দৈনিকের এক সম্পাদকের উপরে। মাত্র এক মাস আগে একই ভাবে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ হন পাক টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক হামিদ মির। তিনটি গুলি লেগেছিল তাঁর গায়ে।
এ দিন নিজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন পাক দৈনিকের সম্পাদক জাফর আহির। মুলতানের ওয়েস্টার্ন ফোর্ড কলোনির কাছে জোর করে তাঁর গাড়ি থামিয়ে দেয় পাঁচ-সাত জন। জাফর একটি টিভি চ্যানেলে জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি। দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধরও করে। জাফরের কথায়, “ওরা আমায় প্রচণ্ড মারে। জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। মোবাইলও ছিনিয়ে নেয়।” এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দু’টি মোটরবাইক এবং একটি গাড়িতে হাজির হয় বেশ কয়েক জন। তাঁর দাবি, হঠাৎ চিৎকার শুনে তিনি ছুটে বাইরে এসে দেখেন জাফরের উপরে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়েছে। তত ক্ষণে এই প্রত্যক্ষদর্শীর পেটে বন্দুক ঠেকিয়েছে এক দুষ্কৃতী। তাঁকে সে বলে, “তোমার এখানে নাক গলানোর কোনও দরকার নেই। কেটে পড়ো জলদি।” পরে জাফর আহিরের গাড়ির সামনের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, এখনও কিছু বলা সম্ভব নয়। তদন্ত চলছে। আহত জাফর বলেছেন, “আততায়ীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিল এর পায়ে গুলি করা উচিত।” সম্পাদকের মন্তব্য, “ওরা আমায় ভারতের চর বলে ডাকছিল। এক বার ইহুদিও বলল। এমনকী ষড়যন্ত্রকারী বলতেও ছাড়েনি।” দুষ্কৃতীরা এ-ও বলে “এক বার আমাদের হাত গলে বেরিয়ে গিয়েছিলে, এ বার কী করে পালাও দেখি!”
গত এপ্রিল মাসে করাচি বিমানবন্দর থেকে সংবাদপত্রের অফিস যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে একই ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন পাক চ্যানেলের সাংবাদিক হামিদ মির। শেষ পর্যন্ত প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। তালিবান-সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী তাঁকে আগেও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy