Advertisement
E-Paper

বিস্ফোরণ থেকে বাঁচলেন মুশারফ

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। দেশদ্রোহে অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের খামারবাড়ির কাছে গত কাল গভীর রাতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। মুশারফের অবশ্য কিছু হয়নি। কারণ ওই বিস্ফোরণের কিছু ক্ষণ আগেই সেই পথ দিয়ে বেরিয়ে যায় তাঁর কনভয়। ঘটনার দায় এখনও কোনও গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৩৮

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ।

দেশদ্রোহে অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের খামারবাড়ির কাছে গত কাল গভীর রাতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। মুশারফের অবশ্য কিছু হয়নি। কারণ ওই বিস্ফোরণের কিছু ক্ষণ আগেই সেই পথ দিয়ে বেরিয়ে যায় তাঁর কনভয়। ঘটনার দায় এখনও কোনও গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

বুধবার রাত দু’টো নাগাদ রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতাল থেকে ইসলামাবাদের শহরতলি এলাকার চাক শেহজাদের খামারবাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছিল মুশারফকে। ওই হাসপাতালেই গত জানুয়ারি থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ফৈজাবাদ থেকে রাওয়াল দম চকের মধ্যে বিস্ফোরণ হয়। ঘণ্টাখানেক আগে ওই পথ দিয়েই গিয়েছিল মুশারফের কনভয়। বম্ব স্কোয়াডের লোকজন পরে জানান, বিস্ফোরক যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। যার জেরে রাস্তায় অন্তত এক ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে একটি গাড়ি যাচ্ছিল। জখম হয়েছেন সেই গাড়ির এক যাত্রী। পুলিশ পরে দাবি করে, ৭০ বছরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টই এই বিস্ফোরণের লক্ষ্য ছিলেন। ওই রাস্তা সংলগ্ন ফুটপাথের ড্রেনের পাইপে চার কেজি বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।

পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের নজর রয়েছে মুশারফের উপরে। তার মধ্যে তালিবান অন্যতম। যারা আত্মঘাতী জঙ্গির বাহিনী পাঠিয়ে প্রকাশ্যে মুশারফকে মারার হুমকি দিয়েছিল। এর আগেও তিন বার তাঁর উপরে হামলার চেষ্টা হয়েছে। তখন অবশ্য ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। প্রথম হামলা ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সে বারও রাওয়ালপিন্ডিতেই মুশারফের কনভয় পার হয়ে যাওয়ার পরে বিস্ফোরণ ঘটে। তার কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে মারার চেষ্টা করে দুই আত্মঘাতী জঙ্গি। মুশারফ প্রাণে বাঁচলেও মারা যান ১৬ জন। আর তৃতীয় বার হামলা হয় ২০০৭-এর জুলাইয়ে। রাওয়ালপিন্ডির রানওয়ে থেকে সে দিন মুশারফের বিমান ওড়ার সময়ে গুলি ছোড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক জঙ্গি। জঙ্গিদের লক্ষ্য হওয়ায় এমনিতেই মুশারফের জন্য কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। তিনি কোথাও বেরোলেই তাঁর যাত্রাপথে আগে থেকে নজরদারি চালায় পুলিশ। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গত ২ জানুয়ারি দেশদ্রোহের মামলার শুনানির জন্য বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেন মুশারফ। তার পরেই তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে নিজেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাই তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সঙ্গে ছিলেন ছেলে বিলাল।

গত সোমবারই তাঁকে দেশদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিশেষ আদালতে। কিন্তু অসুস্থ মাকে দেখতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যাওয়ার জন্য আবেদন জানান মুশারফ। পাক সরকার অবশ্য বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

musharaf close save blast
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy