প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার চার্জ গঠন করল পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত। সোমবার এই মামলার শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন মুশারফ নিজেই। ২০০৭ সালে বেআইনি ভাবে দেশের সংবিধানকে সাসপেন্ড করা এবং জরুরি অবস্থা জারি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা শুরু হল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে মুশারফ বলেন, “আমি যা করেছি দেশের ভালর জন্যেই করেছি। এখন সেই সব কিছুকে দেশদ্রোহ বলা হচ্ছে শুনে খুব খারাপ লাগছে।” প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানোর জন্যই এই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ দিনই আবার অসুস্থ মাকে দেখার জন্য বিদেশে যেতে চেয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের তরফে একটি আর্জি পেশ করা হয় আদালতে। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের উপরে ছেড়ে দিয়েছে আদালত। তার পরেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা ছড়ায়, সম্ভবত দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে মুশারফকে।
এর মধ্যেই ফের নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন মুশারফ। এক ব্রিটিশ সাংবাদিকের দাবি, পাকিস্তানে লাদেনের লুকিয়ে থাকার কথা জানতেন মুশারফ।
ন্যান্সির ইস্তফা
ইস্তফা দিলেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল। সোমবার রাতে মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ৬৭ বছরের পাওয়েলের ইস্তফার কথা জানানো হয়েছে। পাওয়েলের সরে যাওয়ার কারণ নিয়ে মুখ খোলেনি মার্কিন সরকার। তবে তাঁর ইস্তফা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লিতে। অনেকে মনে করছেন, আমেরিকারও ধারণা নরেন্দ্র মোদী এ বার ক্ষমতায় আসতে পারেন। তাই মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ন্যান্সি। কিন্তু তিনি ইউপিএ-র বিদেশনীতির সমর্থক। তাই তাঁকে দূত হিসেবে রাখলে পরে সমস্যা হতে পারে বলেই হয়তো অপসারণ। আর এক পক্ষের ধারণা, ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে সরালে দিল্লি কী অবস্থান নিতে পারে, সে ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনকে ঠিক ভাবে অবহিত করেননি ন্যান্সি। সেটাও কারণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy